ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন ৭ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কুলাউড়ায় জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা সম্পন্ন বিশ্ব ডিম দিবস দুর্গাপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ব্রিস্টল বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবের ঐতিহাসিক অর্জন ও ২০ বছরের গৌরবময় যাত্রা টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র কোটচাঁদপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন

বাবার ফাঁসি চাইলো সন্তানরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৬৯১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজার রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় নিহতের সন্তানরাও হত্যাকারী বাবাসহ সকল জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেন।

শুক্রবার (৯আগষ্ট) দুপুর ২ টায় হত্যাকাণ্ডের  জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও সেচছ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মৌলভীচক এলাকাবাসীর আয়োজনে মৌলভীচক পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সমাজকর্মী আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মাহবুব রহমান, মখলিছুর রহমান, কামারচাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলীম আল মুনিম, নিহত মিনা বেগমের বড় ভাই আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সমাজকর্মী কনা মিয়া, আলিক চৌধুরী, শায়েস্তা মিয়া, সাংবাদিক মাইদুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিনার, নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে কাওসার আহমেদ প্রমুখ।

এসময় নিহত মিনা বেগমকে তার স্বামী সহ যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সেচছ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে  কাওসার আহমেদ (১৫) ও মেয়ে বুশরা আক্তার (৩) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার নির্মমতার কারণে আমরা আজ মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে বাবাসহ যারা মিলে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী লেচু মিয়া সহ কয়েকজন মিলে লাশ গুম করতে পায়ে কলসি ও ড্রাম বেধে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ঘাতক স্বামী লেচু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাবার ফাঁসি চাইলো সন্তানরা

আপডেট সময় ০৩:১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজার রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় নিহতের সন্তানরাও হত্যাকারী বাবাসহ সকল জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেন।

শুক্রবার (৯আগষ্ট) দুপুর ২ টায় হত্যাকাণ্ডের  জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও সেচছ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মৌলভীচক এলাকাবাসীর আয়োজনে মৌলভীচক পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সমাজকর্মী আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মাহবুব রহমান, মখলিছুর রহমান, কামারচাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলীম আল মুনিম, নিহত মিনা বেগমের বড় ভাই আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সমাজকর্মী কনা মিয়া, আলিক চৌধুরী, শায়েস্তা মিয়া, সাংবাদিক মাইদুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিনার, নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে কাওসার আহমেদ প্রমুখ।

এসময় নিহত মিনা বেগমকে তার স্বামী সহ যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সেচছ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে  কাওসার আহমেদ (১৫) ও মেয়ে বুশরা আক্তার (৩) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার নির্মমতার কারণে আমরা আজ মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে বাবাসহ যারা মিলে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী লেচু মিয়া সহ কয়েকজন মিলে লাশ গুম করতে পায়ে কলসি ও ড্রাম বেধে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ঘাতক স্বামী লেচু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।