ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
পবিত্র মাহে রমাদ্বান উপলক্ষে ২ শত অসহায় দুস্থ পরিবারের মধ্যে ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরণ মৌলভীবাজার জেলায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪’শ ৬৫শিশুকে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মৃত্যু বরণ করেছে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পৌর ছাত্রদলের মশাল মিছিল রোজাদার পথচারিদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার বিতরন করলেন সাবেক এমপি এম নাসের রহমান মানুষ হত্যা, জাতির সম্পদ লুটপাট করেও আ.লীগের মধ্যে কোন অনুভূতি নেই মৌলভীবাজার এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে শ্রীমঙ্গলে ইফতার মাহফিলে মহসিন মিয়া মধু রাজনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৫ পালিত বড়লেখায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির পাশে দাঁড়ালেন নাসের রহমান

বিএডিসি ভূট্রার বিবীজে চারা  না হওয়ার কৃষকের মাথায় হাত 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারন  কর্পোরেশন(বিএডিসি)’ভূট্রার বীজে চারা  না হওয়ার অভিযোগ কোটচাঁদপুরের চাষিদের। এতে করে ১২ শ চাষির  ৬ লক্ষ্যাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন  তারা।  উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের ভূট্রা চাষি বিল্লাল হোসেন ও আবু বক্কর বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনার ভূট্রা  বীজ ও সার পেয়ে ছিলাম। ওই বীজ বপন করে আমাদের জমিতে একটা চারাও হয়নি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যারা ওই বীজ বপন করেছিল তাদেরও একই অবস্থা।
এর মধ্যে রয়েছে, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, খোকন মন্ডল, জাকির হোসেন,আমির হোসেন,বজলে শেখ, ইফাদুল ইসলাম,শামসুল ইসলাম,টিটোন রহমান,মাসুম খান।
ওই গ্রামের ছোট বাবু বলেন,আমি সরকারি প্রণোদনার বীজ,সার পায়নি। আমি আমাদের সাইনবোর্ড বাজারের সাইফুল ইসলামের  দোকান থেকে ৩ কেজি ভূট্রার বীজ কিনে ছিলাম। ওই বীজের মধ্যে সে এক প্যাকেট সরকারি বীজ দিয়ে দেন জোর করে। গ্যারান্টি দেন চারা গজানোর।
 বীজ সহ মোট তিন কেজি বীজ জমিতে লাগিয়ে ছিলাম। এরমধ্যে সরকারি বীজে একটা চারাও হয়নি।
পরে তিনি ওই দোকানিকে জানালে,তিনি বীজটা ফ্রি দিতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন,এক বিঘা জমি তৈরিসহ,সার মিলিয়ে আমার ৬ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। প্রতিটি চাষিরই এ ধরনের খরচ হচ্ছে বলে এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, শুধু বলাবাড়িয়া গ্রামের চাষিদের না,পুরো উপজেলায় একই চিত্র। এ মৌসুমে আমরা ১২ চাষিদের মধ্যে ভূট্রার বীজ ও সার দিয়ে ছিলাম। তাদের কারোরই চারা হয়নি।
ইতোমধ্যে আমরা মাঠ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনারা বিএডিসি কে জানিয়েছেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমরা তাদেরকে জানাবো না। আমরা আমাদের কৃষি বিভাগের স্যারদের অবহিত করবো। যা করারা ওনারা করবেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন,আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের কৃষি বিভাগ নিবেন।
ঝিনাইদহ (বিএডিসি) বীজ বিভাগের উপসহকারী পরিচালক সুমি বারুই বলেন,কোন কৃষি অফিস আমাদের এ ঘটনা জানাননি। আপনার কাছে এ প্রথম  জানলাম। তবে বীজ এমন হওয়ার কথা না। বীজ কিছুদিন চাষিদের হাতে পৌছাতে দেরি হয়েছে। আর আমরা বীজের সব ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা করে,কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা কোন চাষিকে এ বীজ দেয়নি।
ঝিনাইদহ বিএডিসির পরিচালকের  মোবাইল নাম্বার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি কর্মকর্তার কাছে ডিডি স্যারের নাম্বার আছে। তারা যখন নাম্বার টা দেয়নি। তাহলে আমি নাম্বার টা কিভাবে দিবো।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএডিসি ভূট্রার বিবীজে চারা  না হওয়ার কৃষকের মাথায় হাত 

আপডেট সময় ১০:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারন  কর্পোরেশন(বিএডিসি)’ভূট্রার বীজে চারা  না হওয়ার অভিযোগ কোটচাঁদপুরের চাষিদের। এতে করে ১২ শ চাষির  ৬ লক্ষ্যাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন  তারা।  উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের ভূট্রা চাষি বিল্লাল হোসেন ও আবু বক্কর বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনার ভূট্রা  বীজ ও সার পেয়ে ছিলাম। ওই বীজ বপন করে আমাদের জমিতে একটা চারাও হয়নি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যারা ওই বীজ বপন করেছিল তাদেরও একই অবস্থা।
এর মধ্যে রয়েছে, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, খোকন মন্ডল, জাকির হোসেন,আমির হোসেন,বজলে শেখ, ইফাদুল ইসলাম,শামসুল ইসলাম,টিটোন রহমান,মাসুম খান।
ওই গ্রামের ছোট বাবু বলেন,আমি সরকারি প্রণোদনার বীজ,সার পায়নি। আমি আমাদের সাইনবোর্ড বাজারের সাইফুল ইসলামের  দোকান থেকে ৩ কেজি ভূট্রার বীজ কিনে ছিলাম। ওই বীজের মধ্যে সে এক প্যাকেট সরকারি বীজ দিয়ে দেন জোর করে। গ্যারান্টি দেন চারা গজানোর।
 বীজ সহ মোট তিন কেজি বীজ জমিতে লাগিয়ে ছিলাম। এরমধ্যে সরকারি বীজে একটা চারাও হয়নি।
পরে তিনি ওই দোকানিকে জানালে,তিনি বীজটা ফ্রি দিতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন,এক বিঘা জমি তৈরিসহ,সার মিলিয়ে আমার ৬ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। প্রতিটি চাষিরই এ ধরনের খরচ হচ্ছে বলে এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, শুধু বলাবাড়িয়া গ্রামের চাষিদের না,পুরো উপজেলায় একই চিত্র। এ মৌসুমে আমরা ১২ চাষিদের মধ্যে ভূট্রার বীজ ও সার দিয়ে ছিলাম। তাদের কারোরই চারা হয়নি।
ইতোমধ্যে আমরা মাঠ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনারা বিএডিসি কে জানিয়েছেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমরা তাদেরকে জানাবো না। আমরা আমাদের কৃষি বিভাগের স্যারদের অবহিত করবো। যা করারা ওনারা করবেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন,আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের কৃষি বিভাগ নিবেন।
ঝিনাইদহ (বিএডিসি) বীজ বিভাগের উপসহকারী পরিচালক সুমি বারুই বলেন,কোন কৃষি অফিস আমাদের এ ঘটনা জানাননি। আপনার কাছে এ প্রথম  জানলাম। তবে বীজ এমন হওয়ার কথা না। বীজ কিছুদিন চাষিদের হাতে পৌছাতে দেরি হয়েছে। আর আমরা বীজের সব ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা করে,কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা কোন চাষিকে এ বীজ দেয়নি।
ঝিনাইদহ বিএডিসির পরিচালকের  মোবাইল নাম্বার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি কর্মকর্তার কাছে ডিডি স্যারের নাম্বার আছে। তারা যখন নাম্বার টা দেয়নি। তাহলে আমি নাম্বার টা কিভাবে দিবো।