ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মেঝো ভাইসাবকে ভুলতে পারি না হাফিজ সাব্বির আহমদ ৩০ বছরে পদার্পণ করল ঢাকা ব্যাংক পিএলসি মৌলভীবাজার শাখায় জমকালো আয়োজন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির শোক বার্তা কমলগঞ্জে পবিত্র আশুরা অনুষ্ঠান পালিত উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলোচনা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল চুরি হওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার,চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কোয়াটারে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক পরিচালিত বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকের কোয়াটারের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দূর্ভেগে পড়েছে শিক্ষকের পরিবার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শাহ আলমের কোয়াটারে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং বিটিআরআই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরের কোয়াটারে এই বিছিন্ন অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসচিব এবং প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বিটিআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সদস্য ও স্টোরকিপার মুকুল রায়, বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক হাবিব বাহার চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিভাগের অন্যান্য লোকসমূহ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বিটিআরআই স্কুল সংলগ্ন তিনতলা ভবনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেই কোয়াটারে কোনো লাইট জ্বলছে না। নাই গ্যাসের আগুন এবং নাই পানির কোনো ব্যবস্থা। সবদিক থেকে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলে হয়েছে। কোয়াটারের বৈদ্যুতিক বোর্ডের পাশে খুব অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহ আলম। বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোক্তভুগি শিক্ষক শাহ আলম জানান, তিনি দীর্ঘ ৩৮ বছর নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতার পর অবসর গ্রহন করি। কিন্তু বিটিআরআই কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক আমার প্রাপ্য গ্রাচুয়িটির টাকা আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে এ কোয়াটার ছেড়ে চলে যেতে বলেন। বিধিমোতাবেক আমার প্রাপ্যতা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। তিনি আরো বলেন, আমি প্রথম উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছি ১৪/১২/২২ তারিখে। উচ্চ আদালত থেকে প্রথম চিঠি এসেছে ২২/১২/২২ তারিখে এবং দ্বিতীয় চিঠি এসেছে ২৯/১২/২২ তারিখ। সেই রিট পিটিশনের প্রেরিতপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, উচ্চ আদালতে এই আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে কোনো প্রকার হয়রানি এবং আমার কোয়াটারের বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কিন্তু বিটিআরআই কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে আমার কোয়াটারে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমাকে চরম বিড়ম্বনার মাঝে ফেলে দিয়েছে। শাহ আলম জানান, অবসর শেষে আমার গ্রাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড এর জন্য বিধিমোতাবেক পরিচালক (স্কুল সভাপতি) আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক প্রকৃত পাওনা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মত সামান্য অর্থের চেক এর প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে সই করতে বলেন। এই টাকা গ্রহণে আমি অপারগতা প্রকাশ করি।
জালালাবাদ গ্যাস এর শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী মাসুদ রানা জানান, বিটিআরআই কোয়াটারগুলো গ্যাস গ্রহিতা পরিচালক, বিটিআরআই। যখন কোয়াটারে কোনো লোক থাকেন না তখন আমাদের লিখিতভাবে জানালে আমরা গিয়ে সেই সংযোগ বিছিন্ন করি। আবার কোনো কোয়াটারে কোনো লোক আসলে সেই বিষয়টি আমাদেরকে লিখিত চিঠিতে অবহিত করা হলে আমরা সেখানে পুনসংযোগ দিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং বিটিআরআই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কিছু বলবো না।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কোয়াটারে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় ০২:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক পরিচালিত বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকের কোয়াটারের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দূর্ভেগে পড়েছে শিক্ষকের পরিবার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শাহ আলমের কোয়াটারে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং বিটিআরআই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরের কোয়াটারে এই বিছিন্ন অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসচিব এবং প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বিটিআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সদস্য ও স্টোরকিপার মুকুল রায়, বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক হাবিব বাহার চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিভাগের অন্যান্য লোকসমূহ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বিটিআরআই স্কুল সংলগ্ন তিনতলা ভবনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেই কোয়াটারে কোনো লাইট জ্বলছে না। নাই গ্যাসের আগুন এবং নাই পানির কোনো ব্যবস্থা। সবদিক থেকে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলে হয়েছে। কোয়াটারের বৈদ্যুতিক বোর্ডের পাশে খুব অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহ আলম। বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোক্তভুগি শিক্ষক শাহ আলম জানান, তিনি দীর্ঘ ৩৮ বছর নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতার পর অবসর গ্রহন করি। কিন্তু বিটিআরআই কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক আমার প্রাপ্য গ্রাচুয়িটির টাকা আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে এ কোয়াটার ছেড়ে চলে যেতে বলেন। বিধিমোতাবেক আমার প্রাপ্যতা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। তিনি আরো বলেন, আমি প্রথম উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছি ১৪/১২/২২ তারিখে। উচ্চ আদালত থেকে প্রথম চিঠি এসেছে ২২/১২/২২ তারিখে এবং দ্বিতীয় চিঠি এসেছে ২৯/১২/২২ তারিখ। সেই রিট পিটিশনের প্রেরিতপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, উচ্চ আদালতে এই আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে কোনো প্রকার হয়রানি এবং আমার কোয়াটারের বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কিন্তু বিটিআরআই কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে আমার কোয়াটারে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমাকে চরম বিড়ম্বনার মাঝে ফেলে দিয়েছে। শাহ আলম জানান, অবসর শেষে আমার গ্রাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড এর জন্য বিধিমোতাবেক পরিচালক (স্কুল সভাপতি) আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক প্রকৃত পাওনা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মত সামান্য অর্থের চেক এর প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে সই করতে বলেন। এই টাকা গ্রহণে আমি অপারগতা প্রকাশ করি।
জালালাবাদ গ্যাস এর শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী মাসুদ রানা জানান, বিটিআরআই কোয়াটারগুলো গ্যাস গ্রহিতা পরিচালক, বিটিআরআই। যখন কোয়াটারে কোনো লোক থাকেন না তখন আমাদের লিখিতভাবে জানালে আমরা গিয়ে সেই সংযোগ বিছিন্ন করি। আবার কোনো কোয়াটারে কোনো লোক আসলে সেই বিষয়টি আমাদেরকে লিখিত চিঠিতে অবহিত করা হলে আমরা সেখানে পুনসংযোগ দিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং বিটিআরআই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কিছু বলবো না।