ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জেলা জামায়াতের আর্থিক উপহার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

 

৩১ আগস্ট ,শনিবার, বিকাল ৩টায় মৌলভীবাজার পৌরসভা হলরুমে এ মতবিনিময় সভা ও উপহার প্রদান করা হয়।

 

জেলা সেক্রেটারী মো: ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় ও জেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে বিগত আন্দোলনে আহত ৭২জন ছাত্র ছাত্রী প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকার ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ তারেকুল হামিদ, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, জেলা ইউনিট সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুস নোমান ও পৌর সেক্রেটারী মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী,ছাত্রশিবির শহর সভাপতি তারেক আজিজ ও জেলা সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৌলভীবাজারে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও পুলিশের নির্মম বুলেটের আঘাতের চিত্র তুলে ধরেন আহত শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক কষ্টকর পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

আহতদের পরিচয় পর্ব ও আঘাতের বর্ণনা শোনার পর প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল পৃথিবীর শতবর্ষের ইতিহাসে একটি অসাধারণ আন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার ক্ষমতায় এসেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৫৭ জন চৌকস অফিসার হত্যা করে। এর পরপরই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে অত্যাচার নির্যাতনের টার্গেটে পরিণত করে।কথিত একটি ট্রাইবুনালে ভুয়া বিচারক, ভুয়া মামলা ভুয়া সাক্ষী দিয়ে একের পর এক আমাদের শীর্ষ ১১জন নেতাদেরকে হত্যা করা হয়। এইভাবে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে, দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে।

প্রধান মেহমান এই ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের পেছনে যাদের অবদান তাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন আমাদের প্রিয় ছোট ভাই আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ শাহাদাত পুরো জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। একটা নিরস্র নিরপরাধ যুবক বন্দুকের সামনে তার সিনা পেতে দিয়েছি। তার এই শাহাদাত আন্দোলনকে উচ্চতর ডাইমেনশন নিয়ে গিয়েছে। মুগ্ধ নামে যেই ছেলেটি সে কর্মসূচি পালন করতো মানুষকে পানি খাওয়ানোর মাধ্যমে, তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সকল শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জেলা জামায়াতের আর্থিক উপহার

আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

 

৩১ আগস্ট ,শনিবার, বিকাল ৩টায় মৌলভীবাজার পৌরসভা হলরুমে এ মতবিনিময় সভা ও উপহার প্রদান করা হয়।

 

জেলা সেক্রেটারী মো: ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় ও জেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে বিগত আন্দোলনে আহত ৭২জন ছাত্র ছাত্রী প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকার ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ তারেকুল হামিদ, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, জেলা ইউনিট সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুস নোমান ও পৌর সেক্রেটারী মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী,ছাত্রশিবির শহর সভাপতি তারেক আজিজ ও জেলা সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৌলভীবাজারে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও পুলিশের নির্মম বুলেটের আঘাতের চিত্র তুলে ধরেন আহত শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক কষ্টকর পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

আহতদের পরিচয় পর্ব ও আঘাতের বর্ণনা শোনার পর প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল পৃথিবীর শতবর্ষের ইতিহাসে একটি অসাধারণ আন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার ক্ষমতায় এসেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৫৭ জন চৌকস অফিসার হত্যা করে। এর পরপরই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে অত্যাচার নির্যাতনের টার্গেটে পরিণত করে।কথিত একটি ট্রাইবুনালে ভুয়া বিচারক, ভুয়া মামলা ভুয়া সাক্ষী দিয়ে একের পর এক আমাদের শীর্ষ ১১জন নেতাদেরকে হত্যা করা হয়। এইভাবে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে, দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে।

প্রধান মেহমান এই ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের পেছনে যাদের অবদান তাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন আমাদের প্রিয় ছোট ভাই আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ শাহাদাত পুরো জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। একটা নিরস্র নিরপরাধ যুবক বন্দুকের সামনে তার সিনা পেতে দিয়েছি। তার এই শাহাদাত আন্দোলনকে উচ্চতর ডাইমেনশন নিয়ে গিয়েছে। মুগ্ধ নামে যেই ছেলেটি সে কর্মসূচি পালন করতো মানুষকে পানি খাওয়ানোর মাধ্যমে, তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সকল শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।