ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে জেলা বিএনপির মৌণ মিছিল মৌলভীবাজার ৩টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আমার বুকে গুলি করেন কাজী মনজুর ৩ মাছ শিকারীকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জয়নাল হোসেন আর নেই চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি নেতা শেখ জসিম এর দলীয় পদ স্থগিত শনিবার মৌলভীবাজার যে সব এলাকায় থাকবে না বিদ্যুৎ জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপনে মৌলভীবাজারে প্রতীকী ম্যারাথন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে মৌলভীবাজার ছাত্রদলের স্মরণসভা মব সৃষ্টির নামে অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যুবদলের হুঁশিয়ারি

ভাগ্না-ভাগ্নীর রেজাল্টে জানতে স্কুলে হাতি নিয়ে মামা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৬২৯ বার পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভাগ্না-ভাগ্নীর বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ শুনার আনন্দে হাতি নিয়ে স্কুলে হাজির মামা। স্কুলের আঙ্গিনায় হাতির পিঠে উঠে আনন্দ উপভোগ করেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিবাবক। বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে থাকেন একে একে সবাই। প্রায় সময় মৌলভীবাজারে রাস্তায় হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেন হাতির মালিক সালমান।

কমলগঞ্জ উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলে দেখা যায় এমন চিত্র।

হাতির মালিক সালমান বলেন, ‘আমাদের ২টা হাতি। প্রায় সময় আমি ও মাহুত এভাবে ঘুরে ঘুরে সবাইকে আনন্দ দেই। তবে কারো কাছ থেকে আমরা টাকা নেই না। স্থানীয় পৌর এলাকায় প্রতিষ্টিত কমলগঞ্জের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেনে আমার ভাগিনা পড়াশোনা করে। তাদের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে জেনে আমি মাহুতের সহযোগীতায় হাতিকে নিয়ে সেখানে যাই। রেজাল্ট প্রকাশ হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলের বাহিরে বের হয়। তখন তাদেরকে হাতির মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে আনন্দ দেই। পরে আমার ছোট ভাগিনাকে হাতির উপড়ে বসে বাড়িতে নিয়ে আসি। আসার পথে শত শত মানুষ হাতি ও আমাদের ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করে। তিনি আরও বলেন,আমরা হাতিকে বিভিন্ন জায়গায় সার্কাস ও গাছ টানার কাজে ব্যবহার করে থাকি।

 

আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসলে এখন হাতির সংখ্যা খুব কম দেখা যায়। এক সময় হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের দিন ছিল আজ। প্রায় সময় দেখি সখের বসে হাতির মালিক ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। উনার ভাগনী ও ভাগিনা আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করেন। তাদের ও রেজাল্ট জানানো হয়। সেই আনন্দের খবর শুনে তিনি হাতি নিয়ে আমাদের স্কুলে হাজির হন। তখন আমাদের বাচ্চারা রেজাল্টের পাশাপাশি বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাগ্না-ভাগ্নীর রেজাল্টে জানতে স্কুলে হাতি নিয়ে মামা

আপডেট সময় ০৫:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভাগ্না-ভাগ্নীর বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ শুনার আনন্দে হাতি নিয়ে স্কুলে হাজির মামা। স্কুলের আঙ্গিনায় হাতির পিঠে উঠে আনন্দ উপভোগ করেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিবাবক। বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে থাকেন একে একে সবাই। প্রায় সময় মৌলভীবাজারে রাস্তায় হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেন হাতির মালিক সালমান।

কমলগঞ্জ উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলে দেখা যায় এমন চিত্র।

হাতির মালিক সালমান বলেন, ‘আমাদের ২টা হাতি। প্রায় সময় আমি ও মাহুত এভাবে ঘুরে ঘুরে সবাইকে আনন্দ দেই। তবে কারো কাছ থেকে আমরা টাকা নেই না। স্থানীয় পৌর এলাকায় প্রতিষ্টিত কমলগঞ্জের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেনে আমার ভাগিনা পড়াশোনা করে। তাদের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে জেনে আমি মাহুতের সহযোগীতায় হাতিকে নিয়ে সেখানে যাই। রেজাল্ট প্রকাশ হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলের বাহিরে বের হয়। তখন তাদেরকে হাতির মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে আনন্দ দেই। পরে আমার ছোট ভাগিনাকে হাতির উপড়ে বসে বাড়িতে নিয়ে আসি। আসার পথে শত শত মানুষ হাতি ও আমাদের ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করে। তিনি আরও বলেন,আমরা হাতিকে বিভিন্ন জায়গায় সার্কাস ও গাছ টানার কাজে ব্যবহার করে থাকি।

 

আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসলে এখন হাতির সংখ্যা খুব কম দেখা যায়। এক সময় হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের দিন ছিল আজ। প্রায় সময় দেখি সখের বসে হাতির মালিক ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। উনার ভাগনী ও ভাগিনা আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করেন। তাদের ও রেজাল্ট জানানো হয়। সেই আনন্দের খবর শুনে তিনি হাতি নিয়ে আমাদের স্কুলে হাজির হন। তখন আমাদের বাচ্চারা রেজাল্টের পাশাপাশি বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন