ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ভারতের ১৫ টি শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মৌলভীবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান শ্রীমঙ্গল কলার বাজার থেকে বিষধর পিট ভাইপার সাপ উদ্ধার মৌলভীবাজার সীমান্তে পুশ ইন বাড়তি নজরদারি আইজিপির নির্দেশের পর সতর্কাবস্থানে মৌলভীবাজারসহ সিলেটের চার পুলিশ সুপার মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী কাতারের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্রে বছরের প্রথম চা নিলাম অনুষ্টিত মৌলভীবাজারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মাহফুজ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট নির্বাচিত খোলামেলা পোশাক ও ‘হারপিক’ মন্তব্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তসিবা বেগম

মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী কাতারের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ মেনে চলার মধ্যেই আমাদের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। দাওয়াতি মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.) -ই আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। আমাদের ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে নবীজী (সা.)- এর সিরাত মানা অপরিহার্য। মহানবী (সা.) নবুয়তী জীবনের বৃহৎ সময় দাওয়াতী মিশনে ব্যায় করেছেন; কাজেই আমাদেরকে সর্বপ্রথম নিজের পরিশুদ্ধি ও মানবতার কল্যাণের জন্য ব্যাপক হারে দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেথে হবে।

 

৬ মে মঙ্গলবার রাতে কাতারের দোহাস্থ আমানউল্লাহ রেষ্টুরেন্টের হল রুমে মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী (খেলাফত মজলিস) কাতার শাখার উদ্যোগে, শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল হাছিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের ঘোষিত দাওয়াত ও গণসংযোগ মাস ২০২৫ উপলক্ষে এক দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দাওয়াতি মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম।

 

শাখা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা তাজ উদ্দীন আহমাদের সঞ্চালনায় দাওয়াতি মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জোন পরিচালক প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ বিলাল।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। মহানবী (সা.) -এর আদর্শ মানার মধ্যেই আমাদের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ শান্তি চাই এবং পরকালীন মুক্তি চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করতে হবে, কেননা কুরআন ও হাদিসেই রয়েছে আমাদের জন্য শান্তির বার্তা।

রাষ্ট্রদূত বলেন এখানে বাহিরে আমরা সবাই নিজ দেশের রিপ্রেজেন্ট করছি। বাহিরে আমরা নিজ দেশ ও জাতিকে সঠিক ভাবে তুলে ধরার একটা সুযোগ পাই, আমরা প্রত্যেককেই সে সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাইকে স্থানীয় আইন মেনে চলে বসবাস করার পরামর্শ দেন।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, পৃথিবীর সর্বত্র আজ মানবতার চরম বিপর্যয় চলছে, মানুষের মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। মজলুমের উপর জালিমে আনন্দোচ্ছ্বাস চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব অনেক। তিনি বলেন, মানবতার মুক্তির জন্য আমাদের অপরিসীম ত্যাগ করতে হবে। ব্যাপক ভাবে দাওয়াতের মিশন নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। এখনো অনেক মানুষ সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না। তিনি উপস্থিত সবাইকে ব্যাপকহারে দাওয়াতী কাজের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে ব্যাপক হারে দাওয়াতি মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। খেলাফত মজলিস বিশ্বাস করে দাওয়াতের মাধ্যমে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে ইসলামের সু-মহান আদর্শ ও সৌন্দর্য তুলে ধরে সবাই মহান আল্লাহ প্রদত্ত সুখ, সমৃদ্ধ সুন্দর ও ঈমানী জীবন লাভ করবেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাতার শাখার সহ.সভাপতি মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

খেলাফত মজলিস প্রতিষ্টালগ্ন থেকে সে কাজটি-ই করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশসহ বিশ্ববিশ্বব্যাপী এক-বিরাট দাওয়াতি মিশন চালিয়ে যাচ্ছে, দাওয়াতের মাধ্যমেই মানুষের ইসলাহ করতে হবে, মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য দাওয়াতের বিকল্প নেই।

 

দাওয়াতি মাহফিলে অন্যান্নের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ সাজ্জাদ আলী, সহ.সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, কাতার আল নূর কালচারাল সেন্টারের পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইউসুফ নূর, সহ.সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান নাহিদ, মাওলানা আবদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম, সহ.সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সহ.প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন, নির্বাহি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল হক, আলহাজ্ব মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আমিনুল ইসলাম তালহা, হাফেজ যোবায়ের আহমদ, মাওলানা আবদুল আজীজ প্রমূখ দায়িত্বশীল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী কাতারের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৯:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ মেনে চলার মধ্যেই আমাদের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। দাওয়াতি মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.) -ই আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। আমাদের ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে নবীজী (সা.)- এর সিরাত মানা অপরিহার্য। মহানবী (সা.) নবুয়তী জীবনের বৃহৎ সময় দাওয়াতী মিশনে ব্যায় করেছেন; কাজেই আমাদেরকে সর্বপ্রথম নিজের পরিশুদ্ধি ও মানবতার কল্যাণের জন্য ব্যাপক হারে দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেথে হবে।

 

৬ মে মঙ্গলবার রাতে কাতারের দোহাস্থ আমানউল্লাহ রেষ্টুরেন্টের হল রুমে মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী (খেলাফত মজলিস) কাতার শাখার উদ্যোগে, শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল হাছিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের ঘোষিত দাওয়াত ও গণসংযোগ মাস ২০২৫ উপলক্ষে এক দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দাওয়াতি মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম।

 

শাখা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা তাজ উদ্দীন আহমাদের সঞ্চালনায় দাওয়াতি মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জোন পরিচালক প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ বিলাল।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। মহানবী (সা.) -এর আদর্শ মানার মধ্যেই আমাদের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ শান্তি চাই এবং পরকালীন মুক্তি চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করতে হবে, কেননা কুরআন ও হাদিসেই রয়েছে আমাদের জন্য শান্তির বার্তা।

রাষ্ট্রদূত বলেন এখানে বাহিরে আমরা সবাই নিজ দেশের রিপ্রেজেন্ট করছি। বাহিরে আমরা নিজ দেশ ও জাতিকে সঠিক ভাবে তুলে ধরার একটা সুযোগ পাই, আমরা প্রত্যেককেই সে সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাইকে স্থানীয় আইন মেনে চলে বসবাস করার পরামর্শ দেন।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, পৃথিবীর সর্বত্র আজ মানবতার চরম বিপর্যয় চলছে, মানুষের মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। মজলুমের উপর জালিমে আনন্দোচ্ছ্বাস চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব অনেক। তিনি বলেন, মানবতার মুক্তির জন্য আমাদের অপরিসীম ত্যাগ করতে হবে। ব্যাপক ভাবে দাওয়াতের মিশন নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। এখনো অনেক মানুষ সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না। তিনি উপস্থিত সবাইকে ব্যাপকহারে দাওয়াতী কাজের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে ব্যাপক হারে দাওয়াতি মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। খেলাফত মজলিস বিশ্বাস করে দাওয়াতের মাধ্যমে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে ইসলামের সু-মহান আদর্শ ও সৌন্দর্য তুলে ধরে সবাই মহান আল্লাহ প্রদত্ত সুখ, সমৃদ্ধ সুন্দর ও ঈমানী জীবন লাভ করবেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাতার শাখার সহ.সভাপতি মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

খেলাফত মজলিস প্রতিষ্টালগ্ন থেকে সে কাজটি-ই করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশসহ বিশ্ববিশ্বব্যাপী এক-বিরাট দাওয়াতি মিশন চালিয়ে যাচ্ছে, দাওয়াতের মাধ্যমেই মানুষের ইসলাহ করতে হবে, মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য দাওয়াতের বিকল্প নেই।

 

দাওয়াতি মাহফিলে অন্যান্নের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ সাজ্জাদ আলী, সহ.সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, কাতার আল নূর কালচারাল সেন্টারের পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইউসুফ নূর, সহ.সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান নাহিদ, মাওলানা আবদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম, সহ.সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সহ.প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন, নির্বাহি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল হক, আলহাজ্ব মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আমিনুল ইসলাম তালহা, হাফেজ যোবায়ের আহমদ, মাওলানা আবদুল আজীজ প্রমূখ দায়িত্বশীল।