ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে চাচির সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

মিথ্যা মামলা’র সুষ্ঠু তদন্ত ও মামলা থেকে অব্যাহতি এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবীতে মৌলভীবাজারে চাচি সহ ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজনগর উপজেলার সারমপুর গ্রামের এক পরিবার।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযুক্ত আতিকুর রহমান সুয়েব এর চাচি ফাতেহা বেগম। লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান সুয়েব’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সুয়েব আমাদের পরিবারের সদস্য। সারমপুর গ্রামের মোঃ বশির আহমদের পুত্র সুয়েব আহমদ পরিবারের লোক হলেও দুষ্ঠু লোকের ছত্র ছাঁয়ায় বেপরওয়া হয়ে উঠেছে।

সে বিএনপির সময়ে বিএনপি ও আ’লীগের সময়ে আ’লীগ নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের চরম ক্ষতি সাধন করে। তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। সে বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর যাবৎ চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক লোককে হয়রানি করে আসছে। নদী লুটকে কেন্দ্র করে বিগত দুই বছর আগে গ্রামের আরজু মিয়া নামের এক ব্যক্তির হাত-পা কেটে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরজু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে । পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইস্যূ কাজে লাগিয়ে গেল ৪ আগষ্ট ঘটনা দেখিয়ে গেল ২০ ে ফেব্রæয়ারি রাজনগর থানায় পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের একটি মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী করেন আপন চাচা নিরীহ আনছার আলী রুশনকে (৫৫), আপন চাচাতো ভাই রাাকিন আহমদ বাবু (১৮), চাচাতো ভাই ফাহান আহমদ (১৯), চাচাতো ভাই রাকিম আহমদ (১৯) ও গ্রামের আরজু মিয়া (৪৫), জরিফ মিয়া(৪৭), দেলোয়ার মিয়া (৩৬) সহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কজনকে।

তিনি বলেন, আমার স্বামী আনছার আলী রুশনকে ৩ যুগ পর প্রবাস থেকে দেশে আসার পর তার ছেলের সাথে সুয়েব এর ভাই’র মারামারির ঘটনায় সুয়েবের ভাই মারা যায়। এ ঘটনায় হুকুমদাতা হিসাবে তাকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। অতচ এরা একই পরিবারের দুই পুত্র ছিল। আনছার আলী কিছুই জানতেন না। ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পরে এডভোকেট সৌরভ ভট্রচার্যেও মধ্যস্থতায় ৫ লাখ টাকা নগদ ও কিছু জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে টাকা পাবার পরও মামলা তুলে আনেননি। এর পরও তিনি আরও ৭০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছেন। তিনি বলেন, তার মা রুকেয়া বেগম, বোন রিমি বেগম ও তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান জুসেফ মামলার আসামী আনছার আলী নিরপরাধ মর্মে আদালতে স্বাক্ষ্য দেন। কিন্তু সুয়েবের ছলচাতুরির কারণে একটি পরিবার ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদেরও জরিফ মিয়া প্রবাস থেকে দেশে আসলে সুয়েব ও  তার বাহিনীর তার সম্পত্তির উপর নজর পড়ে এবং চাঁদা দাবী করে। রাজি না হওয়ায় হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ভয় পেয়ে জরিফ মিয়া বাড়ি ছেড়ে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট বাসায় বসবাস করছেন। পরে গেল ৪ঠা আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গ্রামের শিবলু মিয়া ও দেলোয়ার মিয়াকে এভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে সুয়েব। কাল্পনিক বিস্ফোরনের মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবীতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অভিযুক্ত সুয়েবের চাচি রাহেলা বেগম, গ্রামের জরিফ মিয়ার স্ত্রী ছালেহা বেগম ও জুনেল আহমদ প্রমূখ।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে চাচির সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১০:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

মিথ্যা মামলা’র সুষ্ঠু তদন্ত ও মামলা থেকে অব্যাহতি এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবীতে মৌলভীবাজারে চাচি সহ ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজনগর উপজেলার সারমপুর গ্রামের এক পরিবার।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযুক্ত আতিকুর রহমান সুয়েব এর চাচি ফাতেহা বেগম। লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান সুয়েব’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সুয়েব আমাদের পরিবারের সদস্য। সারমপুর গ্রামের মোঃ বশির আহমদের পুত্র সুয়েব আহমদ পরিবারের লোক হলেও দুষ্ঠু লোকের ছত্র ছাঁয়ায় বেপরওয়া হয়ে উঠেছে।

সে বিএনপির সময়ে বিএনপি ও আ’লীগের সময়ে আ’লীগ নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের চরম ক্ষতি সাধন করে। তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। সে বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর যাবৎ চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক লোককে হয়রানি করে আসছে। নদী লুটকে কেন্দ্র করে বিগত দুই বছর আগে গ্রামের আরজু মিয়া নামের এক ব্যক্তির হাত-পা কেটে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরজু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে । পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইস্যূ কাজে লাগিয়ে গেল ৪ আগষ্ট ঘটনা দেখিয়ে গেল ২০ ে ফেব্রæয়ারি রাজনগর থানায় পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের একটি মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী করেন আপন চাচা নিরীহ আনছার আলী রুশনকে (৫৫), আপন চাচাতো ভাই রাাকিন আহমদ বাবু (১৮), চাচাতো ভাই ফাহান আহমদ (১৯), চাচাতো ভাই রাকিম আহমদ (১৯) ও গ্রামের আরজু মিয়া (৪৫), জরিফ মিয়া(৪৭), দেলোয়ার মিয়া (৩৬) সহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কজনকে।

তিনি বলেন, আমার স্বামী আনছার আলী রুশনকে ৩ যুগ পর প্রবাস থেকে দেশে আসার পর তার ছেলের সাথে সুয়েব এর ভাই’র মারামারির ঘটনায় সুয়েবের ভাই মারা যায়। এ ঘটনায় হুকুমদাতা হিসাবে তাকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। অতচ এরা একই পরিবারের দুই পুত্র ছিল। আনছার আলী কিছুই জানতেন না। ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পরে এডভোকেট সৌরভ ভট্রচার্যেও মধ্যস্থতায় ৫ লাখ টাকা নগদ ও কিছু জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে টাকা পাবার পরও মামলা তুলে আনেননি। এর পরও তিনি আরও ৭০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছেন। তিনি বলেন, তার মা রুকেয়া বেগম, বোন রিমি বেগম ও তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান জুসেফ মামলার আসামী আনছার আলী নিরপরাধ মর্মে আদালতে স্বাক্ষ্য দেন। কিন্তু সুয়েবের ছলচাতুরির কারণে একটি পরিবার ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদেরও জরিফ মিয়া প্রবাস থেকে দেশে আসলে সুয়েব ও  তার বাহিনীর তার সম্পত্তির উপর নজর পড়ে এবং চাঁদা দাবী করে। রাজি না হওয়ায় হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ভয় পেয়ে জরিফ মিয়া বাড়ি ছেড়ে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট বাসায় বসবাস করছেন। পরে গেল ৪ঠা আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গ্রামের শিবলু মিয়া ও দেলোয়ার মিয়াকে এভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে সুয়েব। কাল্পনিক বিস্ফোরনের মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবীতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অভিযুক্ত সুয়েবের চাচি রাহেলা বেগম, গ্রামের জরিফ মিয়ার স্ত্রী ছালেহা বেগম ও জুনেল আহমদ প্রমূখ।