ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগের আহবায় মৌলভীবাজার থেকে গ্রে/ফ/তার কুলাউড়ার কৃতি পুলিশ কর্মকর্তা এডিআইজি জালাল চৌধুরী মাছুম’র ইন্তেকাল জুড়ীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় ডিগ্রি পরীক্ষার্থী নি হ ত, ভাই আহত ইতালি বিএনপির নেতা আসাহিদকে ছাত্রদলের সংবর্ধনা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে ত্বরিকত সম্মেলন বোনকে উত্যক্ত করায় যুবককে গলা কে/টে হ/ত্যা বাংলাদেশ পুজা উদযাপন ফ্রন্ট মৌলভীবাজার পৌর শাখার আহ্বায়ক হলেন ইঞ্জিনিয়ার অরুণ কুমার ভট্টাচার্য ও সদস্য সচিব দীপক সরকার পাপন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়লেখা,ওসি মাহবুব ও এসআই সুব্রত পুরস্কৃত মৌলভীবাজারে আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নবীন বরণ

মিথ্যা রটানো ও ধর্মীয় উস্কানি দিলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা…পুলিশ সুপার জাকারিয়া

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, ‘যারা ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ঘটনা রটানোর চেষ্টা করবে, তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে গ্রেফতার করবো। আমরা এ বিষয়ে কোন টলারেন্সে যাব না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের যা কিছু পোস্ট করুক বা কোন কিছু যদি শেয়ার, মন্তব্য করে তাহলে তাকেও আমরা ছাড়বো না।’
পূজোর নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় উস্কানি যদি কেউ দেয় তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে ধরে নিয়ে আসবো। ধর্মীয় উস্কানি যে কেউ  যদি দেয় তাহলে আমাদের জেলায় যেখানেই পাই তাকে আমরা ধরবো প্রয়োজন হলে ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে আসবো। সে যে ধর্মেরই হোক না কেনো, হিন্দু বা মুসলমান। কারণ, এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই বিষয়গুলো আমাদের দেখতে হবে। এখন সাইবার ক্রাইম, সাইবার অপরাধ তো বেড়ে গেছে, আমরা এগুলো কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো। পূজোয় আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সব অফিসাররা মাঠে থাকবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এইবার তো আমরা সম্প্রীতি কমিটি করেছি, এই সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটা পূজা মণ্ডপে ১৫ সদস্যের কমিটি করা আছে। মনে করেন একটা গ্রামে দূরবর্তী একটা জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেখানে ৫ জন হিন্দু সম্প্রদায় ও ১০ জন মুসলমান সম্প্রদায় মিলে সম্প্রীতি কমিটি করা হয়েছে। এই সম্প্রীতি কমিটির প্রত্যেকের নাম ঠিকানা আমাদের কাছে রয়েছে। এই পূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটি জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
গতবছর কুলাউড়া উপজেলায় ৩ টি মান্ডপে, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫ টি পূজা মান্ডপে ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। এজন্য এবছর বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজা মান্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবিদের আলাদা মনোগ্রামযুক্ত একটি পরিচয়পত্র ও বিশেষ ধরনের লাঠি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে করে তারা প্রাথমিকভাবে যে কোনও সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে।
এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা মণ্ডপ ১০০৭ টি। এর মধ্যে সার্বজনীন ৮৭১টি মণ্ডপে এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব। এবছর দেবী দুর্গার গজে আগমন ও নৌকায় গমন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিথ্যা রটানো ও ধর্মীয় উস্কানি দিলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা…পুলিশ সুপার জাকারিয়া

আপডেট সময় ০৩:২৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, ‘যারা ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ঘটনা রটানোর চেষ্টা করবে, তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে গ্রেফতার করবো। আমরা এ বিষয়ে কোন টলারেন্সে যাব না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের যা কিছু পোস্ট করুক বা কোন কিছু যদি শেয়ার, মন্তব্য করে তাহলে তাকেও আমরা ছাড়বো না।’
পূজোর নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় উস্কানি যদি কেউ দেয় তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে ধরে নিয়ে আসবো। ধর্মীয় উস্কানি যে কেউ  যদি দেয় তাহলে আমাদের জেলায় যেখানেই পাই তাকে আমরা ধরবো প্রয়োজন হলে ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে আসবো। সে যে ধর্মেরই হোক না কেনো, হিন্দু বা মুসলমান। কারণ, এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই বিষয়গুলো আমাদের দেখতে হবে। এখন সাইবার ক্রাইম, সাইবার অপরাধ তো বেড়ে গেছে, আমরা এগুলো কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো। পূজোয় আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সব অফিসাররা মাঠে থাকবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এইবার তো আমরা সম্প্রীতি কমিটি করেছি, এই সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটা পূজা মণ্ডপে ১৫ সদস্যের কমিটি করা আছে। মনে করেন একটা গ্রামে দূরবর্তী একটা জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেখানে ৫ জন হিন্দু সম্প্রদায় ও ১০ জন মুসলমান সম্প্রদায় মিলে সম্প্রীতি কমিটি করা হয়েছে। এই সম্প্রীতি কমিটির প্রত্যেকের নাম ঠিকানা আমাদের কাছে রয়েছে। এই পূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটি জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
গতবছর কুলাউড়া উপজেলায় ৩ টি মান্ডপে, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫ টি পূজা মান্ডপে ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। এজন্য এবছর বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজা মান্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবিদের আলাদা মনোগ্রামযুক্ত একটি পরিচয়পত্র ও বিশেষ ধরনের লাঠি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে করে তারা প্রাথমিকভাবে যে কোনও সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে।
এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা মণ্ডপ ১০০৭ টি। এর মধ্যে সার্বজনীন ৮৭১টি মণ্ডপে এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব। এবছর দেবী দুর্গার গজে আগমন ও নৌকায় গমন।