মুখে স্প্রে ছিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :

আপডেট সময় ০৩:৪৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
/ ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মুখে স্প্রে মেরে,মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্বৃত্তরা এমন অভিযোগ ব্যবসায়ি রুহুল আমীনের। তবে পুলিশ বলছে সাজানো ঘটনা, নাটক করছেন তিনি। সে উপজেলা ছয়খাদা গ্রামের আশাদুল বিশ্বাসের ছেলে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর- সাবদারপুর সড়কের পুলিশ বক্সের সামনে।

ভুক্তভোগী রুহুল আমীন বলেন,সোমবার রাত তখন ৭ টা ৪০/৪৫ মিনিট বাজে। কোটচাঁদপুর স্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে সাবদারপুরের দিকে যাচ্ছিলাম।

এ সময় লাল একটা এ্যাপাচি মটর সাইকেল আমার পিছু নেয়। কিছুদুর যাবার পর,জিজ্ঞেস করেন,এ রাস্তা দিয়ে খালিশপুর যাওয়া যায় কিনা। আমি তাদের বলি এ রাস্তা দিয়ে যেতে অনেক ঘুরতে হবে। আপনারা কোটচাঁদপুর দিয়ে যান।

সেকথা না শুনে সামনে দিয়ে যাবার রাস্তা দেখিয়ে দিতে বলেন আমাকে।

কিছুদুর যাবার পর পুলিশ বক্সের পাশে কয়েকটি মটর সাইকেল দেখতে পায়। আমি মনে করি, তারা প্রশাসনের লোক।

এই মনে করে ওখানে মটর সাইকেলের গতি কমায়। এরপর ওখান থেকে কয়েক জন বের হয়ে আসে। তাদের মধ্যে একজন আমার মুখে কি স্প্র করে দেন। পরে আমি আর কিছু দেখতে পায় না।

এরপর তারা আমাকে পুলিশ বক্সের পাশ দিয়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন টাকার ব্যাগটি।

আমি দিতে না চাইলে তারা আমার হাতে কোপ দেন। এছাড়া ধারালো ছুরি দিয়ে, তারা আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপ দেন। তারপর আর আমি কিছু জানিনা।

তিনি বলেন,এরপর যে সময় আমি বুঝতে পারলাম, তখন রাত ১০ টা বাজে। ওই সময় পাশে পড়ে থাকা মোবাইল বাজছিল। আমি মোবাইল ধরে বলি আমাকে তোরা বাচা।

কিছুক্ষন পর পুলিশ নিয়ে রাজু হোসেন, বাবলু রহমান ও সজিব হোসেন ঘটনাস্থলে আসে। এরপর উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

রহুল বলেন,আমার বাজারে দেড় কোটি টাকা ছড়িয়ে রয়েছে। আর আমি মাত্র ১০/১২ লাখ লাখ জন্য, নিজের শরীল,নিজে কেটে নাটক করবো। বিপদে পড়লে অনেকে অনেক কিছুই বলেন। আমি একটু সুস্থ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করবো অবশ্যই।

সে বর্তমানে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে একজন ব্যবসায়ি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের তাঁর সহযোগী রাজু হোসেন, বাবলু রহমান ও সজিব হোসেন বলেন,রুহুল আমিনের সার ওষুধ আর ভূট্রার ব্যবসা ছাড়াও আরো ব্যবসা আছে। এ বছর তিনি গ্রাম থেকে দেড় কোটি টাকার ভূট্রা কিনেছেন। আমরা তাঁর সঙ্গে থাকি। এলাকার মানুষের আজ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেটা আমরা জানতাম।

তারা বলেন, সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এরপর থেকে যোগাযোগ পাচ্ছিলাম। এ কারনে রুহুল আমীন যে সব জায়গায় বসেন,আমরা সব সময় খুজতে থাকি।

পরে কোন যোগাযোগ না পেয়ে আমরা বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ তার ফোন আসে। সে ফোনে কাঁদতে থাকে। এরপর ঘটনার কথা বললে আমরা পুলিশে সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি।

রুহুল আমীন নাটক করছে,এমন প্রশ্নে তারা বলেন, তার টাকা আছে। আর সে অনেক টাকা মানুষকে দিয়েছেন। এখন অল্প টাকার জন্য নাটক করবেন। তারা বলেন, নাটক করে মানুষ একটা কোপ মারতে পারে শরীলে,ওতগুলো কোপ মারা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রমিজ উদ্দিন (তপু) বলেন,রোগের সারা শরীলে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাকে দেখে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে। অবস্থা আশংকা জনক না।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ আলম বলেন,আমরা ওই সময় সড়কে নিয়মিত টহলে ছিলাম। তাঁর ম্যানেজার সহ কয়েক জন এসে বলেন,আমাদের মটর সাইকেল ছিনতাই হয়ে গেছে। এ কথা শোন