ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারতের জ্বালানি তেল যাবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি এবং চেকপোস্ট ব্যবহার করে  বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জ্বালানি তেল নিতে চায় ভারত। বন্যা ও ভুমিধ্বসে বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ভারত এই সুবিধা চাচ্ছে। প্রথমে আসামের ডিপো থেকে তেল সিলেট। মৌলভীবাজারে চাতলাপুর ও বটুলী চেকপোস্ট হয়ে যাবে ধর্মনগর ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। এভাবে সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক পথ ব্যবহার করে ত্রিপুরা ও মণিপুর রাজ্যে জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করবে ভারত।

বাংলাদেশ সড়ক বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৫ টন জ্বালানিবাহী গাড়ি বাংলাদেশে অংশে ১৩৭ কিলোমিটারের জন্য টোল দেবে ৩ হাজার ৮০০টাকা। ফিরতি খালি গাড়িও সমান টোল দিতে হবে।

বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের রাজ্যগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য সম্প্রতি ৪ মাসের জন্য একটি  অস্থায়ী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। স্বাক্ষরিত এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারত ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে বিকল্প পথে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্য চলাচলের সুবিধা পাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  কী শর্তে এবং ক’দিনের জন্য ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে জ্বালানি পরিবহন করতে পারবে— তা সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। জ্বালানিবাহী ভারতীয় গাড়ির ভারতীয় ভিসা, ইমিগ্রেশন, কাস্টম ও রুট পারমিট সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রতি টন জ্বালানি পরিবহনের জন্য ভারতীয় গাড়ি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮৫ পয়সা টোল দেবে। চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর থেকে (ট্রান্সশিপমেন্ট) পণ্য নিয়ে আসাম, ত্রিপুরায় যাওয়া ট্রাককেও একই পরিমাণ টোল দিতে হয়।

মেঘালয়ের ডাউকি থেকে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢুকবে জ্বালানি তেল ও এলপিজিবাহী গাড়ি। সিলেট থেকে মৌলভীবাজারের শমশেরনগর- চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়ক হয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে যাবে। একই ভাবে মৌলভীবাজারের জুড়ী রাঘনা  বটুলি চেকপোস্ট হয়ে যাবে ধর্মনগরে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় জ্বালানিবাহী গাড়ির চলাচলের সুবিধার্থে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের মনু সেতুর পুনর্বাসন এবং তামাবিল-সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর সড়কের সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ। বাংলাদেশের খরচে এই সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।

বন্যা ও ভূমিধ্বসে সৃষ্ট পাহাড়ি বিপদসংকুল পথ এড়িয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধা চেয়ে গত ২২ মে বাংলাদেশকে প্রথম  অনুরোধ জানায় ভারত। এরপর এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

আসামের বেতকুচি জ্বালানি ডিপো থেকে ধর্মনগর ডিপোর দূরত্ব ৩৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়ছে ১৩৭ কিলোমিটার পথ। ১৫ টন জ্বালানি তেলবাহী ভারতীয় ট্যাংকার এই পথ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা টোল দেবে। খালি অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সময়ও ভারতীয় গাড়িকে সমপরিমাণ টোল দিতে হবে বলে জানা গেছে ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারতের জ্বালানি তেল যাবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে

আপডেট সময় ০৫:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি এবং চেকপোস্ট ব্যবহার করে  বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জ্বালানি তেল নিতে চায় ভারত। বন্যা ও ভুমিধ্বসে বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ভারত এই সুবিধা চাচ্ছে। প্রথমে আসামের ডিপো থেকে তেল সিলেট। মৌলভীবাজারে চাতলাপুর ও বটুলী চেকপোস্ট হয়ে যাবে ধর্মনগর ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। এভাবে সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক পথ ব্যবহার করে ত্রিপুরা ও মণিপুর রাজ্যে জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করবে ভারত।

বাংলাদেশ সড়ক বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৫ টন জ্বালানিবাহী গাড়ি বাংলাদেশে অংশে ১৩৭ কিলোমিটারের জন্য টোল দেবে ৩ হাজার ৮০০টাকা। ফিরতি খালি গাড়িও সমান টোল দিতে হবে।

বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের রাজ্যগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য সম্প্রতি ৪ মাসের জন্য একটি  অস্থায়ী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। স্বাক্ষরিত এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারত ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে বিকল্প পথে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্য চলাচলের সুবিধা পাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  কী শর্তে এবং ক’দিনের জন্য ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে জ্বালানি পরিবহন করতে পারবে— তা সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। জ্বালানিবাহী ভারতীয় গাড়ির ভারতীয় ভিসা, ইমিগ্রেশন, কাস্টম ও রুট পারমিট সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রতি টন জ্বালানি পরিবহনের জন্য ভারতীয় গাড়ি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮৫ পয়সা টোল দেবে। চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর থেকে (ট্রান্সশিপমেন্ট) পণ্য নিয়ে আসাম, ত্রিপুরায় যাওয়া ট্রাককেও একই পরিমাণ টোল দিতে হয়।

মেঘালয়ের ডাউকি থেকে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢুকবে জ্বালানি তেল ও এলপিজিবাহী গাড়ি। সিলেট থেকে মৌলভীবাজারের শমশেরনগর- চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়ক হয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে যাবে। একই ভাবে মৌলভীবাজারের জুড়ী রাঘনা  বটুলি চেকপোস্ট হয়ে যাবে ধর্মনগরে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় জ্বালানিবাহী গাড়ির চলাচলের সুবিধার্থে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের মনু সেতুর পুনর্বাসন এবং তামাবিল-সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর সড়কের সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ। বাংলাদেশের খরচে এই সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।

বন্যা ও ভূমিধ্বসে সৃষ্ট পাহাড়ি বিপদসংকুল পথ এড়িয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধা চেয়ে গত ২২ মে বাংলাদেশকে প্রথম  অনুরোধ জানায় ভারত। এরপর এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

আসামের বেতকুচি জ্বালানি ডিপো থেকে ধর্মনগর ডিপোর দূরত্ব ৩৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়ছে ১৩৭ কিলোমিটার পথ। ১৫ টন জ্বালানি তেলবাহী ভারতীয় ট্যাংকার এই পথ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা টোল দেবে। খালি অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সময়ও ভারতীয় গাড়িকে সমপরিমাণ টোল দিতে হবে বলে জানা গেছে ।