ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা আঞ্জুম হ/ত্যা/কা/ন্ড ঘা/ত/ক জুনেলের ২ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মত মানুষ গু/লি করে হ/ত্যা করা হয়েছে মৌলভীবাজারে…অ্যাটর্নি জেনারেল ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা কুলাউড়া পৌরসভার

মৌলভীবাজারের শিক্ষার্থী রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্ভাবক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: রেললাইনে চলবে ট্রেন। পথে বসানো হবে পিজো ইলেকট্রিক ক্রিস্টাল ডিভাইস। এতে ট্রেনের চাকার চাপে উৎপাদন হবে এসি ভোল্টেজ। একই ডিভাইস থাকবে চাকার সাথের স্প্রিংয়ে। সেখান থেকেও ভোল্টেজ উৎপাদন হবে। সেই বিদ্যুৎ জমা হবে স্টোরেজ স্টেশনে। ট্রেনের ছাদ আর লাইনের মাঝে থাকবে সোলার প্যানেল। সূর্যের তাপ থেকে সেখানে উৎপাদিত হবে ডিসি ভোল্টেজ। সেগুলো আবার ইনভার্টারের সাহায্যে রূপান্তর হবে এসি ভোল্টেজে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই কৌশল উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শিল্টু দাস। তিনি এ প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন রেললাইন থেকে ফ্রি এনার্জি উৎপাদন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধুমাত্র বল প্রয়োগ থেকে ঘণ্টায় এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর সোলার প্যানেল যুক্ত হলে সেখান থেকেও প্রতি কিলোমিটার এলাকা থেকে ০.০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
শিল্টু দাস মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। শিল্টু দাসের দাবি- মেট্রোরেল প্রকল্পে এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
রেললাইন থেকে মূলত দুটি পদ্ধতিতে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। রেলের চাকার বল প্রয়োগের মাধ্যমে ও সোলার প্যানেলের সাহায্যে।
শিল্টু দাস মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, বর্তমানে লোডশেডিংয়ের অবস্থা দেখে আমি চিন্তা করলাম কীভাবে ফ্রি এনার্জি উৎপাদন করা যায়। মেট্রোরেলের যে প্রকল্প চলছে, সেখানে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বৃহৎ একটি অংশের বিদ্যুৎ ফ্রিতে পেতে পারি। সোলার প্যানেল যদি আমরা এক কিলোমিটার এলাকায় ব্যবহার করি, তাহলে সেখান থেকে ০.০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। জার্মান ও ব্রিটিশ কয়েকটি কোম্পানি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল কিংবা সাধারণ যে ট্রেন, সেখানে রাস্তায় অনেক চাপ পড়ে। রেলের রাস্তায় যে চাপ পড়বে সেখান থেকে প্রতি ১৯ নিউটন বল প্রয়োগ করার মাধ্যমে ৫-৬ এসি ভোল্ট উৎপন্ন হবে। এই পদ্ধতি যদি এক কিলোমিটার জায়গায় ব্যবহার করি, তাহলে সেখান থেকে আমরা এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারব।
মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান (ইন্সট্রাক্টর) প্রকৌশলী খালেদ হোসাইন অনিক মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে  বলেন, অবকাঠামোগত দিকগুলো বিবেচনা করে যদি সরকার এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে, তাহলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। নতুন নতুন যে রেললাইন তৈরি হবে সেখানে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। হয়তো আমাদের দেশে এই প্রজেক্টটা বাস্তবায়ন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে চেষ্টা করলে পারা যাবে। মেট্রোরেলেও এটি ব্যবহার করা যাবে। তাহলে কিছু বিদ্যুতের ঘাটতি আমরা এখান থেকে পূরণ করতে পারব। উন্নত দেশগুলো এটি নিয়ে কাজ করছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারের শিক্ষার্থী রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্ভাবক

আপডেট সময় ০৪:১১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: রেললাইনে চলবে ট্রেন। পথে বসানো হবে পিজো ইলেকট্রিক ক্রিস্টাল ডিভাইস। এতে ট্রেনের চাকার চাপে উৎপাদন হবে এসি ভোল্টেজ। একই ডিভাইস থাকবে চাকার সাথের স্প্রিংয়ে। সেখান থেকেও ভোল্টেজ উৎপাদন হবে। সেই বিদ্যুৎ জমা হবে স্টোরেজ স্টেশনে। ট্রেনের ছাদ আর লাইনের মাঝে থাকবে সোলার প্যানেল। সূর্যের তাপ থেকে সেখানে উৎপাদিত হবে ডিসি ভোল্টেজ। সেগুলো আবার ইনভার্টারের সাহায্যে রূপান্তর হবে এসি ভোল্টেজে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই কৌশল উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শিল্টু দাস। তিনি এ প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন রেললাইন থেকে ফ্রি এনার্জি উৎপাদন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধুমাত্র বল প্রয়োগ থেকে ঘণ্টায় এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর সোলার প্যানেল যুক্ত হলে সেখান থেকেও প্রতি কিলোমিটার এলাকা থেকে ০.০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
শিল্টু দাস মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। শিল্টু দাসের দাবি- মেট্রোরেল প্রকল্পে এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
রেললাইন থেকে মূলত দুটি পদ্ধতিতে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। রেলের চাকার বল প্রয়োগের মাধ্যমে ও সোলার প্যানেলের সাহায্যে।
শিল্টু দাস মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, বর্তমানে লোডশেডিংয়ের অবস্থা দেখে আমি চিন্তা করলাম কীভাবে ফ্রি এনার্জি উৎপাদন করা যায়। মেট্রোরেলের যে প্রকল্প চলছে, সেখানে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বৃহৎ একটি অংশের বিদ্যুৎ ফ্রিতে পেতে পারি। সোলার প্যানেল যদি আমরা এক কিলোমিটার এলাকায় ব্যবহার করি, তাহলে সেখান থেকে ০.০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। জার্মান ও ব্রিটিশ কয়েকটি কোম্পানি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল কিংবা সাধারণ যে ট্রেন, সেখানে রাস্তায় অনেক চাপ পড়ে। রেলের রাস্তায় যে চাপ পড়বে সেখান থেকে প্রতি ১৯ নিউটন বল প্রয়োগ করার মাধ্যমে ৫-৬ এসি ভোল্ট উৎপন্ন হবে। এই পদ্ধতি যদি এক কিলোমিটার জায়গায় ব্যবহার করি, তাহলে সেখান থেকে আমরা এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারব।
মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান (ইন্সট্রাক্টর) প্রকৌশলী খালেদ হোসাইন অনিক মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে  বলেন, অবকাঠামোগত দিকগুলো বিবেচনা করে যদি সরকার এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে, তাহলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। নতুন নতুন যে রেললাইন তৈরি হবে সেখানে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। হয়তো আমাদের দেশে এই প্রজেক্টটা বাস্তবায়ন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে চেষ্টা করলে পারা যাবে। মেট্রোরেলেও এটি ব্যবহার করা যাবে। তাহলে কিছু বিদ্যুতের ঘাটতি আমরা এখান থেকে পূরণ করতে পারব। উন্নত দেশগুলো এটি নিয়ে কাজ করছে।