মৌলভীবাজারে আন্তজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার মালামাল উদ্ধার
- আপডেট সময় ০১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
- / ৮০২ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানাধীন লাউয়াছড়া বনে শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।
১৮ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৫৩,০০০/- টাকা এবং বিভিন্ন মডেলের ১৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কমলগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে ১। বশির আহমেদ (৩৫), ২। আবুল হোসেন (৩৫), ৩। কইনুল ইসলাম (২৫), ৪। সবুজ মিয়া (৫০), ৫। লোকমান মিয়া (২৮), ৬। আব্দুল মালিক (২৮) ৭। আরিফ মিয়া (২৮)দেরকে সিলেট এবং মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত কয়েকটি দা, চাকু, রাম দা, করাতসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের একজন বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় ১৪/১৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এই ডাকাত দল একই প্রক্রিয়ায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার রশিদপুর নামক স্থানে ডাকাতি করেছে মর্মে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং এরমধ্যে ০২ জন আসামীকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ০৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুদর্শন কুমার রায় জানান, ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ তৎপর ছিল। জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং কমলগঞ্জ থানার টিম যৌথভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতাকৃত ডাকাতদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি,খুনের একাধিক মামলা রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, জেলা পুলিশ মৌলভীবাজার অত্র জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে বদ্ধ পরিকর। আগামী দিনগুলোতেও চুরি ডাকাতি প্রতিরোধসহ চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী গ্রেফতারের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা পুলিশ আয়োজিত আজকের সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন), জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১আব্দুল হাই চৌধুরী, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, অত্র ডাকাতি মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।