ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আপসহীন নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর নেই মৌলভীবাজার- ৩ সংসদীয় আসনে মোঃ আব্দুল মান্নানের মনোনয়নপত্র দাখিল নির্বাচনী ট্রেনে যেভাবে সারাদেশ উঠেছে, সেই ট্রেন যেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন না হয়: এম নাসের রহমান টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল শাওমি বড়লেখায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ভাই নি হ ত মনিপুরি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তারুণ্যের নবযাত্রা স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান, সাভারে নেতাকর্মীদের জনসমুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ পালিত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৫ নেতা গ্রে ফ তা র

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯০১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।