ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি,আলোচনা সভা ও পুরষ্কার আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত কোটচাঁদপুরে একই রাতে সাতটি গরুচুরি  বগুড়া মাতিয়ে এলেন মৌলভীবাজারের সংগীত শিল্পী জয়দ্বীপ রাজু মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিলেন মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ১০ম গ্রেড না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি টেকনোলজিস্টদের শ্রীমঙ্গলে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল বিদায় নিলেন পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর,দায়িত্ব নিলেন বিল্লাল হোসেন সরকারি চাকুরি করে কোটিপতি অনুপ মৌলভীবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নি/হ/ত আহত-১

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৮৮৬ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।