ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে চা শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি:  মুল্লুক চলো আন্দোলনের ১০১ তম বর্ষে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ‘চা শ্রমিক ফেডারেশন ও লাল পতাকা মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২২ মে)  দুপুর ১২টায় সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণে প্রথমে লাল পতাকা মিছিল সমগ্র মৌলভীবাজার শহর প্রদক্ষিন করে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর শহরের এম. সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজী পাশী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ।
চা শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রহমান ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি  কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কমিটির উপদেষ্টা এড. মঈনুর রহমান মগনু, এড.জুনায়েদ আহমদ,আবু জাফর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং, চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এড.আবুল হাসান, সত্য নাইডু, প্রণব জ্যোতি পাল, সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য কাজল রায়, বীরেন কালিন্দী, লিটন মৃধা, চন্দন বোনার্জী, মিঠুন বোনার্জী, খায়রুন আক্তার, কিরন বৈদ্য, ভজন ভুমিজ, প্রেম কুমার পাল, সবুজ গৌড়, অসিত বুনার্জী, গণেশ বড়কুর্মী, লালন পাহান, প্রণব বাগতী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চা উৎপাদন বাড়ছে,২০২১ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে,চায়ের দাম বেড়েছে, মালিকের মুনাফা বেড়েছে, বিপরীতে বাড়ছে চা শ্রমিকদের বঞ্চনা,শ্রম শোষণ,কমছে মজুরি,কর্মসংস্থান। বর্তমান বাজারে প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে আকাশচুম্বী অথচ চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি। প্রায় ২শত বছর বসবাস করেও দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েও চা শ্রমিকেদর নেই ভূমির অধিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দিকেও চা শ্রমিকরা পিছিয়ে। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় যখন বলা হচ্ছে ২৮০০ ডলারের উপরে তখনও চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। ১৬৮ বছর ধরে যে চা বাগান সেখানে মজুরী এখনও ১৬৮টাকা হয় নি। এমনকি এই অঞ্চলের ভারত,নেপালের তুলনায়ও কম মজুরি।
আধুনিক যুগে এসেও দাসের মতো কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। এই অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে, শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকাসহ, গ্রাচ্যুয়িটি ৫% মুনাফা বন্টনের বিধান,ভূমির স্হায়ী মালিকানা, অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের পেনসনও রেশন দেওয়া,রেশন হিসেবে সপ্তাহে শ্রমিক প্রতি ৫কেজি এবং নির্ভরশীল প্রতিজনে ৩কেজি চাল ও প্রতিমাসে ২কেজি চা পাতা দেওয়া,কর্মক্ষেত্রে অসুস্থদের চিকিৎসা ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরন,নিরিখের অতিরিক্ত কাঁচাপাতা উৎপাদনে এবং ছুটির দিনে কাজ করার জন্য দ্বিগুন হারে মজুরি,শিক্ষা-কর্মসংস্থানে বিশেষ কোটার ব্যবস্হা করার দাবি জানায়। সমাবেশের আগে সমাবেশ স্থল থেকে সুসজ্জিত লাল পতাকার মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে চা শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল

আপডেট সময় ০৩:২১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি:  মুল্লুক চলো আন্দোলনের ১০১ তম বর্ষে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ‘চা শ্রমিক ফেডারেশন ও লাল পতাকা মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২২ মে)  দুপুর ১২টায় সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণে প্রথমে লাল পতাকা মিছিল সমগ্র মৌলভীবাজার শহর প্রদক্ষিন করে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর শহরের এম. সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজী পাশী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ।
চা শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রহমান ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি  কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কমিটির উপদেষ্টা এড. মঈনুর রহমান মগনু, এড.জুনায়েদ আহমদ,আবু জাফর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং, চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এড.আবুল হাসান, সত্য নাইডু, প্রণব জ্যোতি পাল, সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য কাজল রায়, বীরেন কালিন্দী, লিটন মৃধা, চন্দন বোনার্জী, মিঠুন বোনার্জী, খায়রুন আক্তার, কিরন বৈদ্য, ভজন ভুমিজ, প্রেম কুমার পাল, সবুজ গৌড়, অসিত বুনার্জী, গণেশ বড়কুর্মী, লালন পাহান, প্রণব বাগতী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চা উৎপাদন বাড়ছে,২০২১ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে,চায়ের দাম বেড়েছে, মালিকের মুনাফা বেড়েছে, বিপরীতে বাড়ছে চা শ্রমিকদের বঞ্চনা,শ্রম শোষণ,কমছে মজুরি,কর্মসংস্থান। বর্তমান বাজারে প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে আকাশচুম্বী অথচ চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি। প্রায় ২শত বছর বসবাস করেও দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েও চা শ্রমিকেদর নেই ভূমির অধিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দিকেও চা শ্রমিকরা পিছিয়ে। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় যখন বলা হচ্ছে ২৮০০ ডলারের উপরে তখনও চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। ১৬৮ বছর ধরে যে চা বাগান সেখানে মজুরী এখনও ১৬৮টাকা হয় নি। এমনকি এই অঞ্চলের ভারত,নেপালের তুলনায়ও কম মজুরি।
আধুনিক যুগে এসেও দাসের মতো কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। এই অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে, শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকাসহ, গ্রাচ্যুয়িটি ৫% মুনাফা বন্টনের বিধান,ভূমির স্হায়ী মালিকানা, অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের পেনসনও রেশন দেওয়া,রেশন হিসেবে সপ্তাহে শ্রমিক প্রতি ৫কেজি এবং নির্ভরশীল প্রতিজনে ৩কেজি চাল ও প্রতিমাসে ২কেজি চা পাতা দেওয়া,কর্মক্ষেত্রে অসুস্থদের চিকিৎসা ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরন,নিরিখের অতিরিক্ত কাঁচাপাতা উৎপাদনে এবং ছুটির দিনে কাজ করার জন্য দ্বিগুন হারে মজুরি,শিক্ষা-কর্মসংস্থানে বিশেষ কোটার ব্যবস্হা করার দাবি জানায়। সমাবেশের আগে সমাবেশ স্থল থেকে সুসজ্জিত লাল পতাকার মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।