ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ধর্ষণ ও হ-ত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / ১০৫০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ২জনকে ফাঁসির  আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।

বুধবার (১৫ মে ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো: সোলায়মান এ রায় প্রদান করেন।
আদালতে রায় প্রদানের সময় রাষ্ট্র পক্ষে এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও আসামীদেরা পক্ষে এডভোকেট বিল্লাল  হোসেন ও  সানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- আবারক মিয়া, পিতা-মজমিল ②মজ মিয়া, সাং-ছিক্কা, ও জয়নাল মিয়া, পিতা-মৃত হামদু মিয়া, সাং-দক্ষিণ কাসিমপুর, উভয় থানা-রাজনগর ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩০/০৫/১৮ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় ধান কিনার জন্য নগদ ৭০,০০০/-টাকা নিয়া রাজনগরের উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া আসে। ঐদিন সন্ধ্যা পরে আমি আমার ছোট বোন এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং- ০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল করিলে সে আমাকে জানায় রাজনগর পৌছিয়াছে। ঐদিন রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় আমার ছোট বোন আমাদের বাড়ীতে না যাওয়ায় আমার ছোট বোন রায়শা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪৭-০৯৮৭৫৪ হইতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল দিলে সে বলে আমাদের পরিচিত রাজনগর থানাধীন আবারক এর বাড়ীতে ডুকতেছি। একটু পরে কল দিব। এর পর হইতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর আর কোন খোঁজ খবর পাই নাই। সে আমাদের বাড়ী হইতে বাহির হওয়ার সময় আমার ০২টি গরু বিক্রয়ের নগদ ৭০,০০০/-টাকা সাথে নিয়া ও তাহার পড়নে কালো রংয়ের বোরকা ও লাল সবুজ রংয়ের ছাপানো কামিজ, হলুদ ও সাদা রংয়ের ডোরা চেক পুরাতন সেলোয়ার, দুই কানে সোনালী রংয়ের ০২টি দুল পরিহিত ছিল। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজা খুঁজি অবস্থায় বিগত ০২/০৬/১৮ইং তারিখ রাজনগর থানায় আসিয়া জানতে পারি রাজনগর থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা একটি মহিলার লাশ রাজনগর থানাধীন রাজনগর ইউপিস্থ জনৈক মোবারক এর বসত বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে সংলগ্ন মাছু গাঙ্গে (খালে) একজন অজ্ঞাতনামা কালো বোরকা পরিহিত মহিলা, যাহার বয়স অনুমান ৩০-৩৫ বছর হইবে প্রাপ্ত হইয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি আমার ছোট বোন রায়াশা ও তাহার স্বামী গিয়াস উদ্দিনসহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত হইয়া আমার বোনের মৃতদেহ এবং তাহার পরিহিত বোরকা ও কামিজ দেখিয়া আমার বোনের লাশ বলিয়া সনাক্ত করি। গত ৩০/০৬/১৮ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকা হইতে ইং ০১/০৬/১৮ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় আমার অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা যেকোন পন্থায় আমার ছোট বোন রাশেদা বেগমকে হত্যা করিয়া বর্ণিত স্থানে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পানিতে ফেলে রাখিয়াছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে পরদিন রাজনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের বিচারক ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হলে এ রায় প্রদান করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত আবারক মিয়া ও জয়নালকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি এ্যাড. নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২জনকে ফাঁসির  আদেশ দেন একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।রায় ঘোষণা শেষে আবারক মিয়া ও জয়নালকে সাজা পরোয়ানা মুলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ধর্ষণ ও হ-ত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

আপডেট সময় ০২:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ২জনকে ফাঁসির  আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।

বুধবার (১৫ মে ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো: সোলায়মান এ রায় প্রদান করেন।
আদালতে রায় প্রদানের সময় রাষ্ট্র পক্ষে এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও আসামীদেরা পক্ষে এডভোকেট বিল্লাল  হোসেন ও  সানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- আবারক মিয়া, পিতা-মজমিল ②মজ মিয়া, সাং-ছিক্কা, ও জয়নাল মিয়া, পিতা-মৃত হামদু মিয়া, সাং-দক্ষিণ কাসিমপুর, উভয় থানা-রাজনগর ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩০/০৫/১৮ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় ধান কিনার জন্য নগদ ৭০,০০০/-টাকা নিয়া রাজনগরের উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া আসে। ঐদিন সন্ধ্যা পরে আমি আমার ছোট বোন এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং- ০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল করিলে সে আমাকে জানায় রাজনগর পৌছিয়াছে। ঐদিন রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় আমার ছোট বোন আমাদের বাড়ীতে না যাওয়ায় আমার ছোট বোন রায়শা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪৭-০৯৮৭৫৪ হইতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল দিলে সে বলে আমাদের পরিচিত রাজনগর থানাধীন আবারক এর বাড়ীতে ডুকতেছি। একটু পরে কল দিব। এর পর হইতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর আর কোন খোঁজ খবর পাই নাই। সে আমাদের বাড়ী হইতে বাহির হওয়ার সময় আমার ০২টি গরু বিক্রয়ের নগদ ৭০,০০০/-টাকা সাথে নিয়া ও তাহার পড়নে কালো রংয়ের বোরকা ও লাল সবুজ রংয়ের ছাপানো কামিজ, হলুদ ও সাদা রংয়ের ডোরা চেক পুরাতন সেলোয়ার, দুই কানে সোনালী রংয়ের ০২টি দুল পরিহিত ছিল। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজা খুঁজি অবস্থায় বিগত ০২/০৬/১৮ইং তারিখ রাজনগর থানায় আসিয়া জানতে পারি রাজনগর থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা একটি মহিলার লাশ রাজনগর থানাধীন রাজনগর ইউপিস্থ জনৈক মোবারক এর বসত বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে সংলগ্ন মাছু গাঙ্গে (খালে) একজন অজ্ঞাতনামা কালো বোরকা পরিহিত মহিলা, যাহার বয়স অনুমান ৩০-৩৫ বছর হইবে প্রাপ্ত হইয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি আমার ছোট বোন রায়াশা ও তাহার স্বামী গিয়াস উদ্দিনসহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত হইয়া আমার বোনের মৃতদেহ এবং তাহার পরিহিত বোরকা ও কামিজ দেখিয়া আমার বোনের লাশ বলিয়া সনাক্ত করি। গত ৩০/০৬/১৮ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকা হইতে ইং ০১/০৬/১৮ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় আমার অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা যেকোন পন্থায় আমার ছোট বোন রাশেদা বেগমকে হত্যা করিয়া বর্ণিত স্থানে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পানিতে ফেলে রাখিয়াছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে পরদিন রাজনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের বিচারক ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হলে এ রায় প্রদান করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত আবারক মিয়া ও জয়নালকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি এ্যাড. নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২জনকে ফাঁসির  আদেশ দেন একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।রায় ঘোষণা শেষে আবারক মিয়া ও জয়নালকে সাজা পরোয়ানা মুলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।