মৌলভীবাজারে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত
- আপডেট সময় ০২:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
- / ৬০৯ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে আগামী ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এবার মৌলভীবাজারে মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার ২২৬ জনকে শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেল ৩ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা.জালাল উদ্দিন মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।ওরিয়েন্টেশন সভায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্ মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন কার্যালয় সুমন চন্দ্র দাস এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রবিউস সানি।
জেলায় ৪দিনে ৭টি উপজেলার ৩টি পৌরসভা ও ৬৭ টি ইউনিয়নের ২২৮টি ওয়ার্ডে ৫-৫৯ মাস বয়সি মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার ২২৬ জনকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯৭ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ২২৯ জন। আর এ কাজে ১ হাজার ৬৮৭ টি কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন সুপার ভাইজার ৩০৮ জন, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে থাকবে ৩ হাজার ৩৯৪জন ও কর্মীর সংখ্যা রয়েছে ৮২৮জন।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে দেয়া বক্তব্যে পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, আসন্ন ভিটামিন“এ” প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি সকল শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়াতে সবাইকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পৌর এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্র স্থাপন করে ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের সফলতায় সার্বিক সহযোগীতা করবেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, দেশে ভিটামিন “এ” এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্ঠি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে। তিনি বলেন, ভিটামিন “এ” শুধুমাত্র অপুষ্ঠিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন “এ” শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুকি কমায়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।