ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের শমসেরনগর রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে এম সাইফুর রহমান সড়কের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য হোসাইন আহমদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার, সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ রহমান বলেন, গত সাত মাস ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের পদ স্থগিত রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বারবার দাবি জানিয়েছেন।

সাবেক ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামনুন চৌধুরীকে আমরা রাজপথের সৈনিক হিসেবে চিনি। গত ৫ আগস্টসহ বহু আন্দোলনে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা কখনো মাঠে ছিলেন না। এসি রুমে বসে রাজনীতি করলে কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা বোঝা যায় না।

সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার বলেন, আজকের বিক্ষোভের দায়ভার জেলা নেতৃত্বকেই নিতে হবে। কারণ তারা কর্মীদের আবেগ ও নেতাদের অবদানকে সম্মান করতে জানেন না। মামনুন ভাইকে অসম্মান করা মানে পুরো জেলার আন্দোলন সংগ্রামী কর্মীদের অসম্মান করা।

সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার বলেন, এভাবে যদি হাইব্রিড লোকজনের স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ত্যাগী ও রাজপথের কান্ডারীদের বাদ দেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দলের দুর্দিনে আর কেউ প্রাণ বাজি রেখে রাজপথে নামবে না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মৌলভীবাজারে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে সভাপতির দায়িত্ব সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ককে না দিয়ে সদস্য সচিব আহমেদ আহাদকে দেয়া হয়। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এমনকি বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের মতামতকে উপেক্ষা করে সদস্য সচিব এককভাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন, যা দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তার দলীয় পদ পুনর্বহালের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, মামনুন চৌধুরী দলের একজন দুঃসময়ের রাজপথের সাহসী সৈনিক। ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন এবং একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- আমি এ মূহুর্তে একটা মিটিং এ আছি পরে এব্যাপারে কথা বলবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

আপডেট সময় ০৭:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের শমসেরনগর রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে এম সাইফুর রহমান সড়কের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য হোসাইন আহমদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার, সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ রহমান বলেন, গত সাত মাস ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের পদ স্থগিত রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বারবার দাবি জানিয়েছেন।

সাবেক ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামনুন চৌধুরীকে আমরা রাজপথের সৈনিক হিসেবে চিনি। গত ৫ আগস্টসহ বহু আন্দোলনে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা কখনো মাঠে ছিলেন না। এসি রুমে বসে রাজনীতি করলে কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা বোঝা যায় না।

সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার বলেন, আজকের বিক্ষোভের দায়ভার জেলা নেতৃত্বকেই নিতে হবে। কারণ তারা কর্মীদের আবেগ ও নেতাদের অবদানকে সম্মান করতে জানেন না। মামনুন ভাইকে অসম্মান করা মানে পুরো জেলার আন্দোলন সংগ্রামী কর্মীদের অসম্মান করা।

সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার বলেন, এভাবে যদি হাইব্রিড লোকজনের স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ত্যাগী ও রাজপথের কান্ডারীদের বাদ দেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দলের দুর্দিনে আর কেউ প্রাণ বাজি রেখে রাজপথে নামবে না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মৌলভীবাজারে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে সভাপতির দায়িত্ব সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ককে না দিয়ে সদস্য সচিব আহমেদ আহাদকে দেয়া হয়। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এমনকি বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের মতামতকে উপেক্ষা করে সদস্য সচিব এককভাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন, যা দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তার দলীয় পদ পুনর্বহালের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, মামনুন চৌধুরী দলের একজন দুঃসময়ের রাজপথের সাহসী সৈনিক। ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন এবং একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- আমি এ মূহুর্তে একটা মিটিং এ আছি পরে এব্যাপারে কথা বলবো।