ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র হত্যায় মামলা,আসামিরা পলাতক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৮৭ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ নিজ বাসায় বাবা -মা ও বোনের সামনে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দশজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ নভেম্বর) নিহত রেজাউল করিম নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের টিভি হাসপাতাল এলাকার বর্ষিজোড়া গ্রামে মো. চেরাগ মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ঝগড়া হয় নুরুল ইসলাম দাবি করেন তার ছবি ব্যবহার করে চেরাগ মিয়া ফেক আইডি চালাচ্ছেন। এর ঘটনার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে চেরাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাঈমকে অস্ত্র দিয়ে আহত করেন নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া ও সহযোগীরা। এতে নিজ বাড়িতেই নাঈমের রক্তক্ষরণ হয়। নাঈমের বাবা-মা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পরিবারে সবার বড় নাঈম। সে এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন বর্ষিজোড়া এলাকার নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সোহান মিয়া, মো. সাইমন ইসলাম, ইমন মিয়া, আলামিন মিয়া, সাকিল হোসেন, প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন বেগম ও মেয়ে জেসি আক্তারসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন যারা এ ঘটনা সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র হত্যায় মামলা,আসামিরা পলাতক

আপডেট সময় ১০:২৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

ষ্টাফ রিপোর্টঃ নিজ বাসায় বাবা -মা ও বোনের সামনে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দশজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ নভেম্বর) নিহত রেজাউল করিম নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের টিভি হাসপাতাল এলাকার বর্ষিজোড়া গ্রামে মো. চেরাগ মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ঝগড়া হয় নুরুল ইসলাম দাবি করেন তার ছবি ব্যবহার করে চেরাগ মিয়া ফেক আইডি চালাচ্ছেন। এর ঘটনার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে চেরাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাঈমকে অস্ত্র দিয়ে আহত করেন নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া ও সহযোগীরা। এতে নিজ বাড়িতেই নাঈমের রক্তক্ষরণ হয়। নাঈমের বাবা-মা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পরিবারে সবার বড় নাঈম। সে এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন বর্ষিজোড়া এলাকার নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সোহান মিয়া, মো. সাইমন ইসলাম, ইমন মিয়া, আলামিন মিয়া, সাকিল হোসেন, প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন বেগম ও মেয়ে জেসি আক্তারসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন যারা এ ঘটনা সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।