ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা আসাহিদ আহমদ’কে পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে ডিবির বিশেষ অভিযান বিদেশী মদসহ যুবক আ/ট/ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের কোনোভাবে স্থান দেয়ার সুযোগ নেই’ বিএনপির কর্মী সমাবেশে… ময়ূন পীচ কিউরেটর শাহজান এর বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে দুই মাদক ব্যবসায়ী আ/ট/ক বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট আহবায়ক এড.রুনু সদস্য সচিব শ্যামলী

মৌলভীবাজার বিশেষ প্রণোদনা ঋণ বিতরণে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ৮৯৯ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার কর্মসংস্থান ব্যাংকে করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা (ভর্তুকি) ঋণ বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরকারের এই মহতি উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখিন জেলার শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ তাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে দাদন ব্যবসায়ীদের দারস্থ হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

এদিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় এ যাবত ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ঋণ খেলাপির তালিকায়। প্রকৃত গ্রাহকদের ঋণ না দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জেলার সচেতন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।

কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির তালিকায়। গুঞ্জণ রয়েছে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিগত সুবিধা পেয়ে বিগত দিনে ব্যবসায়ী নয় এমন ব্যক্তিদের ঋণ দিয়েছেন। আবার অনেকে রাজনীতিক প্রভাবকাটিয়ে ভর্তুকি ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণ খেলাপি গ্রাহক। এদিকে প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা ঋণ সুবিধাভোগী গ্রাহকদের তথ্য এবং ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা চাইলে দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সুভাশ চন্দ্র বলেন, ঋণের জন্য প্রথমে একবার আবেদন করলে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে আবার কর্মসংস্থান ব্যাংকে গিয়ে আবেদন জমা দেই। কয়েক বার ফোন দেই প্রজেক্ট পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এসে দেখেনি।

কুলাউড়া উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আলিম উদ্দিন হালিম বলেন, ঋণের জন্য একাধিকবার অফিসে গেলেও আমার ভাগ্যে ঋণ ঝুটেনি।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিন্দাবনপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাশ বলেন, ঋণ পেতে কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার কার্যালয়ে আবেদন করলে ৬ মাসের মধ্যেও প্রজেক্ট দেখতে যায়নি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে ৩দিনের মাথায় প্রজেক্ট পরিদর্শনে গেলেও ঋণ ভাগ্যে ঝুটেনি।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আবেদন করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের যাচাইবাছাই করে ঋণ দেয়া হয়। ঋণ খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিশেষ প্রণোদনা ঋণ বিতরণে অনিয়ম

আপডেট সময় ০৪:০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার কর্মসংস্থান ব্যাংকে করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা (ভর্তুকি) ঋণ বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরকারের এই মহতি উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখিন জেলার শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ তাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে দাদন ব্যবসায়ীদের দারস্থ হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

এদিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় এ যাবত ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ঋণ খেলাপির তালিকায়। প্রকৃত গ্রাহকদের ঋণ না দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জেলার সচেতন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।

কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির তালিকায়। গুঞ্জণ রয়েছে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিগত সুবিধা পেয়ে বিগত দিনে ব্যবসায়ী নয় এমন ব্যক্তিদের ঋণ দিয়েছেন। আবার অনেকে রাজনীতিক প্রভাবকাটিয়ে ভর্তুকি ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণ খেলাপি গ্রাহক। এদিকে প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা ঋণ সুবিধাভোগী গ্রাহকদের তথ্য এবং ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা চাইলে দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সুভাশ চন্দ্র বলেন, ঋণের জন্য প্রথমে একবার আবেদন করলে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে আবার কর্মসংস্থান ব্যাংকে গিয়ে আবেদন জমা দেই। কয়েক বার ফোন দেই প্রজেক্ট পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এসে দেখেনি।

কুলাউড়া উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আলিম উদ্দিন হালিম বলেন, ঋণের জন্য একাধিকবার অফিসে গেলেও আমার ভাগ্যে ঋণ ঝুটেনি।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিন্দাবনপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাশ বলেন, ঋণ পেতে কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার কার্যালয়ে আবেদন করলে ৬ মাসের মধ্যেও প্রজেক্ট দেখতে যায়নি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে ৩দিনের মাথায় প্রজেক্ট পরিদর্শনে গেলেও ঋণ ভাগ্যে ঝুটেনি।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আবেদন করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের যাচাইবাছাই করে ঋণ দেয়া হয়। ঋণ খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।