ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
দল নেই নির্বাচনে,তবুও সিলেটে প্রার্থী তারা শ্রীমঙ্গলে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনু্ষ্টিত এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না উপজেলা নির্বাচনে কোটচাঁদপুর জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ঝিনাইদহে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন লাখাইয় প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ এর শুভ উদ্ধোধন করেন ইউএনও নাহিদা সুলতানা পৌরসভার উদ্যাগে ৩ কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন হাওর পাড়ে কৃষকের স্বস্তিতে ‘কৃষক ছাউনি’ সঙ্গীতশিল্পী পাগল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইদিন বন্ধ থাকবে ডাউকি ইমিগ্রেশন

রমজান মাসে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌলভীবাজারে কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা সয়লাব

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  রমজান মাসে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃত্রিমভাবে পাকানো কলায় সয়লাব হয়ে গেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর, ভানুগাছ বাজার, মুন্সিবাজার, আদমপুরসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজার। পাশাপাশি কলার দামও অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় যে যেভাবে সম্ভব ভোক্তাদের কাছ থেকে দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন রোজদার ভোক্তা সাধারণ।

দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে চাম্পা কলা ও সাগর কলার সংখ্যাই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাঁচা কলার ছড়িও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শনি ও রোববার রমজানের বাজার থাকায় হাটবাজারগুলোতে কলার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি। ছোট সাইজের এক ডজন পাকা চাম্পা কলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ৪০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

ভোক্তা শাহীনুর বেগম, শামসুল ইসলাম ও জমশেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগেও যে চাম্পা কলার হালি ছিল ১৫ টাকা। রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা যার যার মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

শমসেরনগর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান রমজানে কলার দাম বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মতো রোজদার গ্রাহকদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কোথাও অতিরিক্ত কলার দাম নেওয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রমজান মাসে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌলভীবাজারে কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা সয়লাব

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  রমজান মাসে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃত্রিমভাবে পাকানো কলায় সয়লাব হয়ে গেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর, ভানুগাছ বাজার, মুন্সিবাজার, আদমপুরসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজার। পাশাপাশি কলার দামও অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় যে যেভাবে সম্ভব ভোক্তাদের কাছ থেকে দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন রোজদার ভোক্তা সাধারণ।

দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে চাম্পা কলা ও সাগর কলার সংখ্যাই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাঁচা কলার ছড়িও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শনি ও রোববার রমজানের বাজার থাকায় হাটবাজারগুলোতে কলার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি। ছোট সাইজের এক ডজন পাকা চাম্পা কলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ৪০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

ভোক্তা শাহীনুর বেগম, শামসুল ইসলাম ও জমশেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগেও যে চাম্পা কলার হালি ছিল ১৫ টাকা। রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা যার যার মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

শমসেরনগর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান রমজানে কলার দাম বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মতো রোজদার গ্রাহকদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কোথাও অতিরিক্ত কলার দাম নেওয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।