ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজনগর হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ,ভবনে ফাটল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: হাসপাতালের প্রধান ভবনে ফাটল দেয়ার কারণে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসা হচ্ছে রাজনগর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট রাজনগর  সরকারি হাসপাতাল।

রবিবার রাত ১ টা ২০ মিনিটের সময় হঠাৎ করে আকস্মিক শব্দে কেঁপে উঠেন রাজনগর হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও সাধারণ রোগী। পরবর্তীতে দেখা যায় রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং রড থেকে কংক্রিট আলাদা হয়ে গিয়েছে।  রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম চালু থাকলে ও বুধবার বিকেল থেকে তা সম্পূণৃরুপে বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ইমারজেন্সি বিভাগে চালু রয়েছে কিন্তু তাতেও মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা। ফলে চিকিৎসাসেবা ও রোগী প্রার্থীদের ব্যাঘাত ঘটছে রাজনগর উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটিতে।

রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ১ টা ২০ মিনিটের সময় হঠাৎ আকস্মিক শব্দে কেঁপে উঠে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।এ ভবনের ডাক্তার, নার্সদের, চিকিৎসা দিতে অনীহা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ  জনগণের স্বার্থে আমরা চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাই, কিন্তু পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ার ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় আমরা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম পাঠান (স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মৌলভীবাজার) বলেন,ভবনটি মাত্রা অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।

এ ব্যাপারে নার্সদের সুপারভাইজার মারজানা বেগম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা সাধারণ জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল বিগত দিনগুলোতে কিন্তু এখন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রাজনগর ইমারজেন্সি বিভাগের ডাক্তার লালা সৌরভ বলেন আমরা শুধুমাত্র এখানে ইমারজেন্সি সেবা দিতে পারছি অন্য কোনো সেবা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পেটের পীড়া নিয়ে রাজনগর হাসপাতালে এসেছিলেন গয়াসপুর গ্রামের মিজানুর রহমান কিন্তু রোগী ভর্তি না নেয় তাকে আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে। এছাড়া ভর্তি না হয়ে ফিরে গিয়েছেন টিকর পাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া দত্ত গ্রামের জুয়েল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া সাধারণ জনগণের মধ্যে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভবনটি পরিদর্শন করেছেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের এমপি নেসার আহমেদ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজনগর হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ,ভবনে ফাটল

আপডেট সময় ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: হাসপাতালের প্রধান ভবনে ফাটল দেয়ার কারণে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসা হচ্ছে রাজনগর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট রাজনগর  সরকারি হাসপাতাল।

রবিবার রাত ১ টা ২০ মিনিটের সময় হঠাৎ করে আকস্মিক শব্দে কেঁপে উঠেন রাজনগর হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও সাধারণ রোগী। পরবর্তীতে দেখা যায় রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং রড থেকে কংক্রিট আলাদা হয়ে গিয়েছে।  রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম চালু থাকলে ও বুধবার বিকেল থেকে তা সম্পূণৃরুপে বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ইমারজেন্সি বিভাগে চালু রয়েছে কিন্তু তাতেও মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা। ফলে চিকিৎসাসেবা ও রোগী প্রার্থীদের ব্যাঘাত ঘটছে রাজনগর উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটিতে।

রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ১ টা ২০ মিনিটের সময় হঠাৎ আকস্মিক শব্দে কেঁপে উঠে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।এ ভবনের ডাক্তার, নার্সদের, চিকিৎসা দিতে অনীহা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ  জনগণের স্বার্থে আমরা চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাই, কিন্তু পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ার ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় আমরা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম পাঠান (স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মৌলভীবাজার) বলেন,ভবনটি মাত্রা অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।

এ ব্যাপারে নার্সদের সুপারভাইজার মারজানা বেগম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা সাধারণ জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল বিগত দিনগুলোতে কিন্তু এখন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রাজনগর ইমারজেন্সি বিভাগের ডাক্তার লালা সৌরভ বলেন আমরা শুধুমাত্র এখানে ইমারজেন্সি সেবা দিতে পারছি অন্য কোনো সেবা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পেটের পীড়া নিয়ে রাজনগর হাসপাতালে এসেছিলেন গয়াসপুর গ্রামের মিজানুর রহমান কিন্তু রোগী ভর্তি না নেয় তাকে আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে। এছাড়া ভর্তি না হয়ে ফিরে গিয়েছেন টিকর পাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া দত্ত গ্রামের জুয়েল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া সাধারণ জনগণের মধ্যে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভবনটি পরিদর্শন করেছেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের এমপি নেসার আহমেদ।