ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সাবেক মেয়র ও বিএনপির  সভাপতি সিডল এর মৃ ত্যু মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে “কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৫” অনুষ্ঠিত নিউইয়র্কে গু লি তে পুলিশ কর্মকর্তা মৌলভীবাজারের দিদারুলসহ ৫ জন নি হ ত দলের প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠনে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করি-জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন জাতীয় ইমাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে অত্যাধুনিক জিম সেন্টারের উদ্বোধন হ/ত্যা মামলায় গ্রে/প্তা/র সাবেক মেয়র মানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক মেশকাতুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকে) থেকে শেখ মো. আতিকুর রহমানকে অব্যাহতি প্রদান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য” ঝিনাইদহে -শিমুল

রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চলার সময়ে নীরবতা পালন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ দাবি জানান সংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

 

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ করে ছিলেন। এছাড়া এটিও কারও অজানা নয় যে, তিনি শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমপিরাও পালিয়ে গেছেন। অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি এখনও বহাল আছেন। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাঁকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমী স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।

 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি হলো, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন না।

১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে নিহত রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। পরে অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান

আপডেট সময় ০৮:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চলার সময়ে নীরবতা পালন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ দাবি জানান সংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

 

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ করে ছিলেন। এছাড়া এটিও কারও অজানা নয় যে, তিনি শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমপিরাও পালিয়ে গেছেন। অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি এখনও বহাল আছেন। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাঁকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমী স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।

 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি হলো, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন না।

১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে নিহত রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। পরে অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।