ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত

লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় মৌলভীবাজারে সাত আসামির যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৬২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রাণ হারান ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল (৪০)। পাওনা টাকা না দিতেই পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয় তাকে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তর ঘরগাঁও গ্রামের রনজিত দেবের ছেলে রবীন্দ্র দেব। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় হয়েছে।

বুধবার জেলার সিনিয়র দায়রা জজ মো. খাদেম উল কায়েস এ রায় দেন।

মৌলভীবাজার জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ‍্যাডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, লক্ষণ পাল ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে। তিনি প্রায় ১৫ বছর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী পূর্ণিমা রানী পাল শিমুল (৩০) ও মেয়ে সৃষ্টি রানী পাল (০৪)সহ কলেজ রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। লক্ষণ দোকানের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ২০২১ সালের ১২ই মার্চ রাজনগর উপজেলার মোকাম বাজার ও আজাদের বাজারে যান। ফেরার পথে আজাদের বাজার আসার পর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা খুনিরা সিএনজিতে ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে তার সঙ্গে উঠে। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আজাদের বাজার থেকে রাজনগর আসার পথে রাস্তায় লক্ষণকে আজাদের বাজার ও রাজনগর মধ্যবর্তী স্থানে হত্যা করে। লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে যায় খুনিরা।  পরদিন লক্ষণ পালের ভাই স্বপন পাল বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার পুলিশ তদন্তে রবীন্দ্র দেবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে জেলার সিনিয়র দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস আসামি রিয়াদ মিয়া, রবীন্দ্র দেব, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুদ আহমদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় মৌলভীবাজারে সাত আসামির যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ১১:১৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রাণ হারান ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল (৪০)। পাওনা টাকা না দিতেই পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয় তাকে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তর ঘরগাঁও গ্রামের রনজিত দেবের ছেলে রবীন্দ্র দেব। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় হয়েছে।

বুধবার জেলার সিনিয়র দায়রা জজ মো. খাদেম উল কায়েস এ রায় দেন।

মৌলভীবাজার জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ‍্যাডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, লক্ষণ পাল ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে। তিনি প্রায় ১৫ বছর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী পূর্ণিমা রানী পাল শিমুল (৩০) ও মেয়ে সৃষ্টি রানী পাল (০৪)সহ কলেজ রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। লক্ষণ দোকানের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ২০২১ সালের ১২ই মার্চ রাজনগর উপজেলার মোকাম বাজার ও আজাদের বাজারে যান। ফেরার পথে আজাদের বাজার আসার পর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা খুনিরা সিএনজিতে ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে তার সঙ্গে উঠে। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আজাদের বাজার থেকে রাজনগর আসার পথে রাস্তায় লক্ষণকে আজাদের বাজার ও রাজনগর মধ্যবর্তী স্থানে হত্যা করে। লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে যায় খুনিরা।  পরদিন লক্ষণ পালের ভাই স্বপন পাল বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার পুলিশ তদন্তে রবীন্দ্র দেবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে জেলার সিনিয়র দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস আসামি রিয়াদ মিয়া, রবীন্দ্র দেব, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুদ আহমদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।