লাউয়াছড়ায় শুটিং করে জেলে গেলেন প্রাণ গ্রুপের কর্মকতা
- আপডেট সময় ০৩:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
- / ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: বনের আইন লঙ্ঘন করে লাউয়াছড়া বনের ভেতরে জেনারেটর ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতার ভাল্ব জ্বালিয়ে শুটিং করার অপরাধে প্রাণ কোম্পানির প্রডাকশন হাউজের লাইন প্রডিউসার এবিএম রিন্টুকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকালে মৌলভীবাজার বন আদলতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বন আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট মোঃ সাইফুর রহমান তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, গত ৮ জুন প্রাণ প্রডাকসন হাউজের এনার্জি ড্রিংকসের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের জন্য ওই কোম্পানী বনের আইন ভেঙ্গে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করে এবং বড় বড় দুটি জেনারেটর চালিয়ে বনের ভেতর আলোকিত করে শুটিং কার্যক্রম চালায়।
একই সাথে তারা সেখানে অবস্থান করে রান্না শুরু করলে বন বিভাগের লাউয়াছড়ায় দায়িত্বরত কর্মীরা দ্রুত গিয়ে তাদের বাঁধা দেয়। পরে রাতেও অননুমোদিতভাবে বনের ভেতরে জেনারটর ও শুটিং সরঞ্জাম রাখার কারণে বন বিভাগ তাদের মালামাল জব্দ করে মৌলভীবাজার বন আদালতে মামলা দেয়।
ওই মামলায় জামিনের শুনানী ছিল রোববার। আদালত শুনানী শেষে আসামির জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র।
উল্লেখ্য, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে হর্ন ও মাইক বাজানো, আগুন জ্বালানো, বন্যপ্রাণীকে বিরক্ত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এর আগেও কিছু অসচেতন লোক লাউয়াছড়া বনে আইন অমান্য করে গানবাজনা, রান্নাসহ জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীকূলের ক্ষতি হয় এমন কাজ করলেও এই প্রথম বনের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলার অপরাধে মামলা দায়ের হয় এবং এ মামলায় আসামিকে জেলে পাঠানো হলো।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, শুধু বনে নয় বনের বাইরেও বন্যপ্রাণী হত্যা, নির্যাতন বা আটক করলে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না