লাখাইয়ে ডাক্তার ২ জন,চরম ভোগান্তিতে রোগীরা
- আপডেট সময় ০১:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৩০৬ বার পড়া হয়েছে
এম এ ওয়াহেদ : হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র ৫০ শয্যা লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লাখাই উপজেলার লোক সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৮৪ জন। এর বিপরীতে ডাক্তার আছেন মাত্র ২ জন। এর ফলে দেখা দিয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানা জটিলতা।
সেবা নিতে আসা হরহামেশা পরছে ভোগান্তির কবলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রশাসনিক ভাবে গত ২৭ জুলাই মাস থেকে ৫০ শয্যার চালু করার কার্যক্রম এর অনুমোদন পাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিদের ভোগান্তি শেষ নেই।
এ ছাড়াও দীর্ঘদিন পরে এক্স-রে মেশিন পেয়েও আনুষঙ্গিক যন্ত্রের অভাবের কারনে চালু করতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা.কাজী শামসুল আরেফীন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান, আমার অত্র হাসপাতালে ডাক্তার ও জনবল সংকট এর কারনে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম, এতে করে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত সেবা নিতে আসা রোগীরা।
তিনি আরো জানান আমার এ হাসপাতালে শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন আই এম ও পুষ্টি কর্ণার, বহিঃবিভাগ, এস সিডি কর্ণার ও জরুরী বিভাগে ৪ জন ডাক্তার নিয়মিত দায়ীত্ব পালন করেন এফ ডব্লিউ সি এর ডাক্তারগন। এই বিষয়ে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় ভোগছেন এফ ডব্লিউ সি অন্তর্ভুক্ত রোগীরা। তিনি বলেন ডাক্তার ও জনবল সংকট নিরসনে এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। আপনার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কতজন ডাক্তার আছে জানেত চাইলে তিনি ভোরের ডাক কে বলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাজরিন মজুমদার ও ডাক্তার অপর্না সুত্রধর তারা সরাসরি এ হাসপাতালে নিয়োগ প্রাপ্ত বাকি যে চারজন ডাক্তার রয়েছে তারা হলেন ডাক্তার শামীম আহমেদ চৌধুরী, ডাক্তার কে এম মঞ্জুরুল আহসান, ডাক্তার সানজিদা আক্তার শিশির ও অনন্যা রায় তারা উপজেলার বিভিন্ন এফ ডব্লিউ সি ও ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দে দায়ীত্ব প্রাপ্ত। কিন্তু উপজেলার রোগীদের সার্বিক সেবা দানের চিন্তা করে তাদের কে দিয়ে সেবা নিতে আসা রোগিদের সেবাদান করে যাচ্ছি। অপর দিকে ঔ ডাক্তারদের মাধ্যমে অত্র হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে বিভিন্ন এফ ডব্লিউ সি ও ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীরা পরছে ভোগান্তিতে। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাক্তার ও জনবল নিয়োগ দিলে হয়তো আর কোন সমস্যা থাকবে না বলে আমি আশাবাদী।
এ ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার নুরুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জেলা ব্যপী ডাক্তার সংকট রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাবর চিঠি দিয়েছি জনবল দেয়ার জন্য। আমি আমার পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি চলতি অর্থ বছরের ভিতরেই জনবল সংকট নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদী।