ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে জেলা বিএনপির মৌণ মিছিল মৌলভীবাজার ৩টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আমার বুকে গুলি করেন কাজী মনজুর ৩ মাছ শিকারীকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জয়নাল হোসেন আর নেই চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি নেতা শেখ জসিম এর দলীয় পদ স্থগিত শনিবার মৌলভীবাজার যে সব এলাকায় থাকবে না বিদ্যুৎ জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপনে মৌলভীবাজারে প্রতীকী ম্যারাথন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে মৌলভীবাজার ছাত্রদলের স্মরণসভা মব সৃষ্টির নামে অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যুবদলের হুঁশিয়ারি

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে । – পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অসহনীয় মাত্রার শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, এটি সফল করতে সকল ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এবিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে।  শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দসচেতন করে গড়ে তুলতে পাঠ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী  হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং  সংসদ সদস্য ও  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। এপ্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য   শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক/শ্রমিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।  টেলিভিশন, বেতার, প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।  সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা শব্দদূষণ মুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থার একযোগে কাজ করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণ বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে। এ বিষয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ মতো কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরশেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও নাগরিক টেলিভিশনের হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর (ইএনটি) ডা: হুসনে কমর ওসমানী এবং প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম পরিচালক প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী,  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন, সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ  শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। সকল গ্রহণযোগ্য মতামত বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে কাজ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে । – পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অসহনীয় মাত্রার শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, এটি সফল করতে সকল ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এবিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে।  শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দসচেতন করে গড়ে তুলতে পাঠ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী  হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং  সংসদ সদস্য ও  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। এপ্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য   শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক/শ্রমিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।  টেলিভিশন, বেতার, প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।  সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা শব্দদূষণ মুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থার একযোগে কাজ করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণ বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে। এ বিষয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ মতো কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরশেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও নাগরিক টেলিভিশনের হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর (ইএনটি) ডা: হুসনে কমর ওসমানী এবং প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম পরিচালক প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী,  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন, সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ  শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। সকল গ্রহণযোগ্য মতামত বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে কাজ করা হবে।