ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আ/ত্ম/হ/ত্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে যমুনা রায় (২৭) নামের এক খণ্ডকালীন বাংলা শিক্ষিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের ধারণা, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

বুধবার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে যমুনা অকৃতকার্য হন। রাতে পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। বুধবার ভোরে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজন তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

যমুনা নবাবগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সহপাঠীদের কাছে তিনি একজন মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, যমুনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিক্ষিকার পরিবার মনে করছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াই আত্মহত্যার কারণ।

শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু শফিক খন্দকার মাসুদ বলেন, “এই ঘটনায় যমুনার পরিবার গভীর শোকে রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যর্থতা মানেই সব শেষ নয়। মানসিক সংকটে পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা অত্যন্ত জরুরি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আ/ত্ম/হ/ত্যা

আপডেট সময় ১০:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে যমুনা রায় (২৭) নামের এক খণ্ডকালীন বাংলা শিক্ষিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের ধারণা, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

বুধবার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে যমুনা অকৃতকার্য হন। রাতে পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। বুধবার ভোরে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজন তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

যমুনা নবাবগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সহপাঠীদের কাছে তিনি একজন মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, যমুনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিক্ষিকার পরিবার মনে করছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াই আত্মহত্যার কারণ।

শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু শফিক খন্দকার মাসুদ বলেন, “এই ঘটনায় যমুনার পরিবার গভীর শোকে রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যর্থতা মানেই সব শেষ নয়। মানসিক সংকটে পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা অত্যন্ত জরুরি।