ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেফতার মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু নিয়ে গেল এনজিওকর্মীরা কোটচাঁদপুরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কুলাউড়ায় রেললাইনের পাশে মিললো অজ্ঞাত লা শ অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে মৌলভীবাজারে রাইজিং ফর রাইটস প্রকল্পের অগ্রগতি সর্ম্পকে গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় মৌলভীবাজার ও সিলেটের যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপি মামলার আসামি রাজনগরে বন্যার্তদের মাঝে সাবেক ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে অর্থ প্রদান জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি থাকবে না :মাওলানা আব্দুল হালিম

শিক্ষার্থী সংকটে এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: জনবল সংকট,প্রশিক্ষকের অভাব, প্রশিক্ষনার্থীদের অভাব আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পন্য বাজারজাত করতে না পারা সহ বিভিন্ন সমস্যায় চলছে মৌলভীবাজার এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

মঙ্গলবার  দুপুরে মৌলভীবাজার মাতারকাপন এলাকায় এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রতিষ্টানের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্হানীয় সরকারের উপপরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মো নাসের রিকাবদার।

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন মৌলভীবাজার টেকনিক্যল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মো আক্তার হোসেন, প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। সেমিনারে সরকারী দপ্তর প্রধান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন।

আয়োজকরা জানান, দেশে ছয়টি এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে এরমধ্যে মৌলভীবাজার একটি। এখানে ছয়টি ট্রেডে ১০০ টি সিট রয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীদের বিনা খরচে আবাসিক সুবিধাসহ ছয় মাসের কোর্স করানো হয়। কিন্তু ৫০-৬০ জনের বেশী প্রশিক্ষনার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিমাসে একজন শিক্ষার্থীর পিছনে সরকারের খরচ হয় চার হাজার টাকা। নির্ধারিত সিট পূর্ন না হওয়ায় অবশিষ্ট টাকা ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের এতিম ও প্রতিবন্ধী ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী মেয়েরা প্রচার ও সচেতনতার অভাবে এ সুযোগ নিতে পারছে না। এছাড়াও জনবল এবং প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে।

এ সময় বক্তারা বলেন স্হানীয় জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্টানের মাধ্যমে এই এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সুযোগ- সুবিধার বার্তাটি তৃনমুল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমাজের প্রতিটি মানুষকে স্বাবলম্বী হতে হবে। এই প্রতিষ্টানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠবে। আর জনবল ও প্রশিক্ষকের সংকট নিরসনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চান সকলে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থী সংকটে এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

আপডেট সময় ১১:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: জনবল সংকট,প্রশিক্ষকের অভাব, প্রশিক্ষনার্থীদের অভাব আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পন্য বাজারজাত করতে না পারা সহ বিভিন্ন সমস্যায় চলছে মৌলভীবাজার এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

মঙ্গলবার  দুপুরে মৌলভীবাজার মাতারকাপন এলাকায় এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রতিষ্টানের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্হানীয় সরকারের উপপরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মো নাসের রিকাবদার।

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন মৌলভীবাজার টেকনিক্যল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মো আক্তার হোসেন, প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। সেমিনারে সরকারী দপ্তর প্রধান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন।

আয়োজকরা জানান, দেশে ছয়টি এতিম ও প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে এরমধ্যে মৌলভীবাজার একটি। এখানে ছয়টি ট্রেডে ১০০ টি সিট রয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীদের বিনা খরচে আবাসিক সুবিধাসহ ছয় মাসের কোর্স করানো হয়। কিন্তু ৫০-৬০ জনের বেশী প্রশিক্ষনার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিমাসে একজন শিক্ষার্থীর পিছনে সরকারের খরচ হয় চার হাজার টাকা। নির্ধারিত সিট পূর্ন না হওয়ায় অবশিষ্ট টাকা ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের এতিম ও প্রতিবন্ধী ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী মেয়েরা প্রচার ও সচেতনতার অভাবে এ সুযোগ নিতে পারছে না। এছাড়াও জনবল এবং প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে।

এ সময় বক্তারা বলেন স্হানীয় জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্টানের মাধ্যমে এই এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সুযোগ- সুবিধার বার্তাটি তৃনমুল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমাজের প্রতিটি মানুষকে স্বাবলম্বী হতে হবে। এই প্রতিষ্টানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠবে। আর জনবল ও প্রশিক্ষকের সংকট নিরসনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চান সকলে।