ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার মাতৃমঙ্গলে সিজারিয়ান মেডিসিন প্রদান জুলাই আন্দোলনে আহতদের ভেরিফিকেশন সংক্রান্তে ফেসবুকে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপারের বিবৃতি কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই

শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ  মৌলভীবাজারে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুর এলাকায় জামেয়া আয়েশা সিদ্দিকা মৌলভীবাজার মহিলা মাদ্রাসার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার মডেল থানায় মাওলানা আলতাফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ২০১৯ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত মাওলানা আলতাফুর রহমানের মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। চাকরিকালীন নানাভাবে বলপ্রয়োগ, প্রভাব খাটিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ২০২২ সালের ২০ মার্চ মাদ্রাসা বন্ধ দিলে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান, কিন্তু প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমান ওই শিক্ষিকাকে বাড়িতে যেতে দেন নি। মাদ্রাসায় একা রেখে রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।

পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসা থেকে চাকরি ছেড়ে দেন। কিছু দিন পর ২০২২ সালের মে মাসে সামাজিকভাবে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও ধর্ষণের ভিডিও শিক্ষিকার স্বামীর মোবাইলে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে আলতাফুর রহমান প্রায়ই শিক্ষিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। শিক্ষিকার স্বামী বিষয়গুলো বুঝে মৌলভীবাজার ওলামা পরিষদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওলামা পরিষদ তদন্তপূর্বক ধর্ষণের সঙ্গে মাওলানা আলতাফুর রহমানে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় মাওলানা আলতাফুর রহমানকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর ওলামা পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও কওমি অঙ্গন থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ওলামা পরিষদ অন্যান্য মাদ্রাসা, দপ্তর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৮:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ষ্টাফ রিপোর্টঃ  মৌলভীবাজারে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুর এলাকায় জামেয়া আয়েশা সিদ্দিকা মৌলভীবাজার মহিলা মাদ্রাসার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার মডেল থানায় মাওলানা আলতাফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ২০১৯ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত মাওলানা আলতাফুর রহমানের মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। চাকরিকালীন নানাভাবে বলপ্রয়োগ, প্রভাব খাটিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ২০২২ সালের ২০ মার্চ মাদ্রাসা বন্ধ দিলে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান, কিন্তু প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমান ওই শিক্ষিকাকে বাড়িতে যেতে দেন নি। মাদ্রাসায় একা রেখে রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।

পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসা থেকে চাকরি ছেড়ে দেন। কিছু দিন পর ২০২২ সালের মে মাসে সামাজিকভাবে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও ধর্ষণের ভিডিও শিক্ষিকার স্বামীর মোবাইলে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে আলতাফুর রহমান প্রায়ই শিক্ষিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। শিক্ষিকার স্বামী বিষয়গুলো বুঝে মৌলভীবাজার ওলামা পরিষদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওলামা পরিষদ তদন্তপূর্বক ধর্ষণের সঙ্গে মাওলানা আলতাফুর রহমানে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় মাওলানা আলতাফুর রহমানকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর ওলামা পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও কওমি অঙ্গন থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ওলামা পরিষদ অন্যান্য মাদ্রাসা, দপ্তর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।