ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিদর্শনে এম নাসের রহমান নবগঠিত রেড ক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের পরিচিতি সভা সাবেক জেলা আমিরেে কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন আমীরে জামায়াত কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির পথচলা

শীর্ষ ইউটিউবার ফারজানার সাফল্যগাঁথা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৬১৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন সোশাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ওয়েবসাইট ‘সোশ্যাল ব্লেড’-এর হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’৷

শুরুতে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’ সম্পর্কে সংক্ষেপে যদি কিছু বলেন…ফারজানা আক্তার : আমার নাম ফারজানা আক্তার৷ আমার চ্যানেলের নাম ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি৷ আমি মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি৷ শুরুতে আমার ইচ্ছা ছিল মাস্টার্স শেষ করার পর একটা জব করার, তো সেক্ষেত্রে আমার হাজবেন্ডের পরামর্শেই আমি ফ্রিল্যান্সার থেকেই ইউটিউবার বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ শুরু করি৷


ড্রয়িং এবং ইউটিউবিং শুরুর পেছনের গল্প? আঁকাআঁকিটা একদম ছোটবেলা থেকেই৷ আমার আব্বু একজন রিটায়ার্ড আর্মি পার্সন, উনি আর্মিতে জব করতেন৷ উনি যখনই অবসর সময় পেতেন, উনি দুইটা কাজ করতেন৷ এর মধ্যে একটা ছবি আঁকা এবং আরেকটা মেকানিকাল কাজ করতেন৷
এটা ওনার শখের কাজ ছিল৷ উনি ছবি যখন আঁকতেন, তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি৷ আমি খেয়াল করলাম, ঐখান থেকে আমার আঁকাআঁকির শখ ও ভালোবাসা তৈরি হয়৷ তারপর থেকে নিজে নিজেই আঁকার প্র্যাক্টিস করতাম ড্রয়িংটা, নিজে নিজেই করতাম৷ প্রতিদিন কিছু না কিছু করতাম৷ এভাবেই দিন দিন আমার আঁকার ইম্প্রুভমেন্ট হয়৷ ২০১৭ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে আমি ভিডিও দেওয়া শুরু করি৷ প্রথম এক মাসেই আমি প্রচুর সাড়া পাই, ইউটিউব থেকে যে আমার অডিয়েন্সরা আমাকে খুব রিকোয়েস্ট করতে থাকে, আমি যেন প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করি৷ ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকমটা ধারণা ছিল না৷
‘ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকম ধারণা ছিল না কী ধরনের ছবি আঁকতে ভালো লাগে?
আঁকাআঁকির সবকিছুর মধ্যেই আমি ভালো লাগা ফিল করি৷ তবে দেখা গেছে যে, পেইন্টিংয়ে আমার দক্ষতা একটু কম, তো আমি শুধু স্কেচ নিয়ে কাজ করেছি এতদিন৷ আপাতত চেষ্টা করছি পেইন্টিংয়ের উপরে দক্ষতা তৈরি করার৷ যতটা সম্ভব আমি রেগুলার প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি৷

কারা আপনার ভিডিও বেশি দেখেন? সবাই চায় আমি মূলত স্কেচ নিয়েই কাজ করি৷ আর এটা বাহিরের কান্ট্রিতে বেশি চলে আরকি৷ ভিউজ বেশি আসে ইন্ডিয়া থেকে, ইন্ডিয়া থেকে ৪০% গ্রাহক আছে বর্তমানে৷ সেকেন্ড অপশনে আছে ইউনাইটেড স্টেটস৷ তারপরে আছে বাংলাদেশ, তারপর তুরস্ক, এরপরে আছে পাকিস্তান৷

একা কনটেন্ট ক্রিয়েট করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?

কী ধরনের ভিডিও তৈরি করবো, এটা নিয়ে ধারণা, তারপর ভিডিওর যে শুটিং, এরপর এডিটিং, তারপর পাবলিশ করা৷ পরে আবার কী ধরনের ভিডিও পাবলিশ করবো, এই সব ধরনের কাজ প্রতিদিন আমি একা হাতে হ্যান্ডেল করি৷ আসলে কাউকে যে ভরসা করে দেবো, এই কাজটা তো আমার মতো করে অন্যজন বুঝতে পারবে না৷ তো দেখা যায় অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় একা একা পুরো কাজ হ্যান্ডেল করা৷

পরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পাচ্ছেন?

আল্লাহর রহমতে আমি কোনোরকম সমস্যা ফেস করছি না৷ আর আমার হাজবেন্ড সম্পূর্ণভাবে আমাকে সাপোর্ট দেয়৷ এমনকি আমার শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ এই বিষয়ে আমাকে খুব সাপোর্ট করে৷ এবং আমি যে এতদূর আসতে পেরেছি তা ভেবে তাারা অনেক গর্ব অনুভব করে এবং আমাকে নিয়ে সবার কাছে খুব প্রশংসা করে৷

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ ইউটিউবার ফারজানার সাফল্যগাঁথা

আপডেট সময় ১১:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

মার্কিন সোশাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ওয়েবসাইট ‘সোশ্যাল ব্লেড’-এর হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’৷

শুরুতে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’ সম্পর্কে সংক্ষেপে যদি কিছু বলেন…ফারজানা আক্তার : আমার নাম ফারজানা আক্তার৷ আমার চ্যানেলের নাম ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি৷ আমি মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি৷ শুরুতে আমার ইচ্ছা ছিল মাস্টার্স শেষ করার পর একটা জব করার, তো সেক্ষেত্রে আমার হাজবেন্ডের পরামর্শেই আমি ফ্রিল্যান্সার থেকেই ইউটিউবার বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ শুরু করি৷


ড্রয়িং এবং ইউটিউবিং শুরুর পেছনের গল্প? আঁকাআঁকিটা একদম ছোটবেলা থেকেই৷ আমার আব্বু একজন রিটায়ার্ড আর্মি পার্সন, উনি আর্মিতে জব করতেন৷ উনি যখনই অবসর সময় পেতেন, উনি দুইটা কাজ করতেন৷ এর মধ্যে একটা ছবি আঁকা এবং আরেকটা মেকানিকাল কাজ করতেন৷
এটা ওনার শখের কাজ ছিল৷ উনি ছবি যখন আঁকতেন, তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি৷ আমি খেয়াল করলাম, ঐখান থেকে আমার আঁকাআঁকির শখ ও ভালোবাসা তৈরি হয়৷ তারপর থেকে নিজে নিজেই আঁকার প্র্যাক্টিস করতাম ড্রয়িংটা, নিজে নিজেই করতাম৷ প্রতিদিন কিছু না কিছু করতাম৷ এভাবেই দিন দিন আমার আঁকার ইম্প্রুভমেন্ট হয়৷ ২০১৭ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে আমি ভিডিও দেওয়া শুরু করি৷ প্রথম এক মাসেই আমি প্রচুর সাড়া পাই, ইউটিউব থেকে যে আমার অডিয়েন্সরা আমাকে খুব রিকোয়েস্ট করতে থাকে, আমি যেন প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করি৷ ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকমটা ধারণা ছিল না৷
‘ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকম ধারণা ছিল না কী ধরনের ছবি আঁকতে ভালো লাগে?
আঁকাআঁকির সবকিছুর মধ্যেই আমি ভালো লাগা ফিল করি৷ তবে দেখা গেছে যে, পেইন্টিংয়ে আমার দক্ষতা একটু কম, তো আমি শুধু স্কেচ নিয়ে কাজ করেছি এতদিন৷ আপাতত চেষ্টা করছি পেইন্টিংয়ের উপরে দক্ষতা তৈরি করার৷ যতটা সম্ভব আমি রেগুলার প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি৷

কারা আপনার ভিডিও বেশি দেখেন? সবাই চায় আমি মূলত স্কেচ নিয়েই কাজ করি৷ আর এটা বাহিরের কান্ট্রিতে বেশি চলে আরকি৷ ভিউজ বেশি আসে ইন্ডিয়া থেকে, ইন্ডিয়া থেকে ৪০% গ্রাহক আছে বর্তমানে৷ সেকেন্ড অপশনে আছে ইউনাইটেড স্টেটস৷ তারপরে আছে বাংলাদেশ, তারপর তুরস্ক, এরপরে আছে পাকিস্তান৷

একা কনটেন্ট ক্রিয়েট করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?

কী ধরনের ভিডিও তৈরি করবো, এটা নিয়ে ধারণা, তারপর ভিডিওর যে শুটিং, এরপর এডিটিং, তারপর পাবলিশ করা৷ পরে আবার কী ধরনের ভিডিও পাবলিশ করবো, এই সব ধরনের কাজ প্রতিদিন আমি একা হাতে হ্যান্ডেল করি৷ আসলে কাউকে যে ভরসা করে দেবো, এই কাজটা তো আমার মতো করে অন্যজন বুঝতে পারবে না৷ তো দেখা যায় অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় একা একা পুরো কাজ হ্যান্ডেল করা৷

পরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পাচ্ছেন?

আল্লাহর রহমতে আমি কোনোরকম সমস্যা ফেস করছি না৷ আর আমার হাজবেন্ড সম্পূর্ণভাবে আমাকে সাপোর্ট দেয়৷ এমনকি আমার শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ এই বিষয়ে আমাকে খুব সাপোর্ট করে৷ এবং আমি যে এতদূর আসতে পেরেছি তা ভেবে তাারা অনেক গর্ব অনুভব করে এবং আমাকে নিয়ে সবার কাছে খুব প্রশংসা করে৷