‘লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালনের লক্ষ্যে’ অনুশীলন চক্র শ্রীমঙ্গল আয়োজন করেছে “বাংলা নববর্ষ বরণ ও বৈশাখী উৎসব ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”। ‘গৌরব ও ঐতিহ্যির’ ধারায় এবার তাদের ছিল ‘তিন যুগ পূর্তি উৎসব’।
ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিল ঐতিহ্যবাহী সংগঠন অনুশীলন চক্র। এবারের আয়োজন ছিল ৫ দিন ব্যাপী। কোভিড মহামারী এবং রমজানের কারণে পরপর চার বছর স্থগিত ছিল অনুশীলন চক্রের আয়োজন।
বাংলা আর বাঙালির প্রাণের এই সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ বরণে বরাবরের ন্যায় এবারও উৎসব প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে উদীচী শ্রীমঙ্গলের বর্ষ আবাহনের মধ্য দিয়ে বরণ করা হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। এরপর অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। এবারের উদযাপন পরিষদের আহ্বায়কের দ্বায়িত্বে ছিলেন অনুশীলন চক্রের সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য এবং সদস্য সচিবের দ্বায়িত্বে ছিলেন অনুশীলন চক্রের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার ইকবাল। উৎসবের শেষ দিন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু তালেব উপস্থিত থেকে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উৎসবে প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ছিল যেমন খুশী তেমন সাজো, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোকসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, কুইজ প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সংবাদ পাঠ ইত্যাদি।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের ৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তমঞ্চে তাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হয়েছে নৃত্য, আবৃত্তি, ধামাইল নাচ, বাউলগান, জারিগান, কবিগান ইত্যাদি।