ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়ার মেয়ে নীলিমা ফুল স্কলারশিপ অর্জন।পিএইচডি করতে যাচ্ছেন আমেরিকায়! তারেক রহমানের কাছে সন্ত্রাসবাদ-চাঁদাবাজের ঠাই নেই ঝুলন যাত্রা পূজা মন্ডপে- বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু ভারতীয় ক্রিমসহ আটক -২ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এসব তো মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি – এম নাসের রহমান ব্যবসায়ী রুবেল হত্যায় দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদল নেতার ম/র/দে/হ উ/দ্ধা/র বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক “জেলা কর্মশালা-২০২৫” তারেক রহমান চান আপনারা সব সময় ভাল থাকেন কমলগঞ্জের আলিনগর চা বাগানে – মহসিন মিয়া মধু ট্রাইব্রেকারের রোমাঞ্চে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের শিরোপা জয়

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা ধ্বংস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ড পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জব্দকৃত ১২৩ বস্তা নষ্ট ও অবৈধ ভারতীয় চা ধ্বংস করা হয়েছে।

 

শুক্রবার বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) প্রাঙ্গণে জব্দকৃত চা ধ্বংস করা হয়েছে।

 

ধ্বংস চায়ের মধ্যে ১১০ বস্তা ছিল ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা এবং বাকি ১৩ বস্তা গ্রিন টি ছিল নিম্নমানের ও নষ্ট চা।

জব্দকৃত চা ধ্বংসের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, বিটিআরআই-এর পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল, চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম’সহ অন্যান্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

চা বোর্ড সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরে চা বোর্ডের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন, নিম্নমানের ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা বিক্রির অভিযোগে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, একটি মিনি চা কারখানা সিলগালা করা হয় এবং একজন ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অভিযানে বিভিন্ন চা দোকান ও কারখানা থেকে জব্দ করা হয় মোট ১২৩ বস্তা চা। এসব চা আদালতের নির্দেশে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসা ভারতীয় চা, দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা এবং অনুমোদনহীন ব্র্যান্ডে নিলাম বহির্ভূতভাবে বাজারজাত করা চা বিক্রি বন্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের চায়ের ঠাঁই হবে না, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

চা বোর্ডের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় চা ব্যবসায়ী মহল। তারা মনে করেন, ভেজাল ও নিম্নমানের চা বাজার থেকে অপসারণে এই ধরণের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা ধ্বংস

আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ড পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জব্দকৃত ১২৩ বস্তা নষ্ট ও অবৈধ ভারতীয় চা ধ্বংস করা হয়েছে।

 

শুক্রবার বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) প্রাঙ্গণে জব্দকৃত চা ধ্বংস করা হয়েছে।

 

ধ্বংস চায়ের মধ্যে ১১০ বস্তা ছিল ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা এবং বাকি ১৩ বস্তা গ্রিন টি ছিল নিম্নমানের ও নষ্ট চা।

জব্দকৃত চা ধ্বংসের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, বিটিআরআই-এর পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল, চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম’সহ অন্যান্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

চা বোর্ড সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরে চা বোর্ডের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন, নিম্নমানের ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা বিক্রির অভিযোগে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, একটি মিনি চা কারখানা সিলগালা করা হয় এবং একজন ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অভিযানে বিভিন্ন চা দোকান ও কারখানা থেকে জব্দ করা হয় মোট ১২৩ বস্তা চা। এসব চা আদালতের নির্দেশে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসা ভারতীয় চা, দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা এবং অনুমোদনহীন ব্র্যান্ডে নিলাম বহির্ভূতভাবে বাজারজাত করা চা বিক্রি বন্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের চায়ের ঠাঁই হবে না, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

চা বোর্ডের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় চা ব্যবসায়ী মহল। তারা মনে করেন, ভেজাল ও নিম্নমানের চা বাজার থেকে অপসারণে এই ধরণের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।