শ্রীমঙ্গলে সনাকের মানববন্ধন পরিবেশ সুরক্ষায় চাই আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ
- আপডেট সময় ০৮:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: পরিবেশ সুরক্ষায় চাই আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ এই শ্লোগানে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। (সনাক) টি আই বি আয়োজিত উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন (সনাক) শ্রীমঙ্গল এর সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য।
শ্রীমঙ্গল টিআইবি’র এরিয়া কো-অডির্নেটর পারভেজ কৈরী’র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, সনাক সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য, সনাক সদস্য শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী নিতেশ সুত্রধর, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস কে দাশ সুমন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের ২৫ ভাগ বন ভূমি কথা থাকলেও আজ দেশের বনভূমি উজার হচ্ছে ধংস হচ্ছে পরিবেশ, দখল আর দূষণে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য, দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও অতিমাত্রায় বন্যা। প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনযাত্রায়। দেশের বেশির ভাগ বন ভূমি দখলের কারনে হুমকিতে থাকলেও নেই উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ। কিন্ত বন ও জলাভূমিসহ পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার সাংবিধানিক নির্দেশনা থাকলেও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়ে দেশে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে, বাঁচাতে হবে প্রাকৃতি ও পরিবেশ। কঠোর পদক্ষেপে পরিবেশ দূষণ রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ দেশের পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনসহ আইন প্রয়োগে সকল প্রকার ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বন, নদী, জলাশয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অবৈধ দখলের সাথে জড়িতদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জীবন-জীবিকা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ নির্মীয়মান কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে।