ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গল হোটেলে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে,খুনের রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৯৫৬ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনের সাথে জড়িত মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল নতুনবাজার হোটেল মুন থেকে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৃত ব্যক্তির নাম মো. ইন্তাজ মীর। পেশায় অটোরিকাসা চালক। সে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মীরের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৩০ নভেম্বর হোটেল মুন এর ২০২ নাম্বার রুমটিতে মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তি  ভাড়া নেয়।
খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ২০২ নং রুমে অবস্থান করা সুজন নামের ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে গতকাল ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা সুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন বাবুর্চি। ইন্তাজ মীরের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নিতে হোটেলে ডেকে আনে তাকে। পরে রাতে কোন এক সময় তাকে গলা টিপে হত্য করে লাশ ২০৩ নং রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুজনের অবস্থান করা ২০২ নং রুম থেকে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত কিছু জামা কাপড় ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ইন্তাজের অটোরিকসাটি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো, আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাপশ চন্দ্র রায়সহ শ্রীমঙ্গল থানার অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, হোটেল  রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত ও মূল আসামিকে ২৪ ঘনাটার ভিতর আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গল হোটেলে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে,খুনের রহস্য উদঘাটন

আপডেট সময় ০৬:১৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনের সাথে জড়িত মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল নতুনবাজার হোটেল মুন থেকে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৃত ব্যক্তির নাম মো. ইন্তাজ মীর। পেশায় অটোরিকাসা চালক। সে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মীরের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৩০ নভেম্বর হোটেল মুন এর ২০২ নাম্বার রুমটিতে মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তি  ভাড়া নেয়।
খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ২০২ নং রুমে অবস্থান করা সুজন নামের ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে গতকাল ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা সুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন বাবুর্চি। ইন্তাজ মীরের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নিতে হোটেলে ডেকে আনে তাকে। পরে রাতে কোন এক সময় তাকে গলা টিপে হত্য করে লাশ ২০৩ নং রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুজনের অবস্থান করা ২০২ নং রুম থেকে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত কিছু জামা কাপড় ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ইন্তাজের অটোরিকসাটি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো, আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাপশ চন্দ্র রায়সহ শ্রীমঙ্গল থানার অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, হোটেল  রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত ও মূল আসামিকে ২৪ ঘনাটার ভিতর আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।