ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের বিরোধের নিরসন করলেন ফয়জুল করিম ময়ূন মৌলভীবাজারে ছাত্রশিবিরের ‘সাথী শিক্ষাশিবির’ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ কুলাউড়ায় মানবপাচারকারীর বাড়িতে বিজিবির অভিযান, আটক ৮ সালিশে চুর অপবাদ ও অর্থদন্ড কৃষকের আত্মহত্যা..সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচারের দাবি কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মৌলভীবাজার ব্র্যাক প্রকল্প অবহিত করণ সভা মৌলভীবাজার বিএনপির বিশেষ সভা:উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন কোটচাঁদপুর গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণসভা আশা’র পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক নিকট কম্বল হস্তান্তর

সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মৌলভীবাজারের নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে প্রতি সপ্তাহেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চড়া মূল্যের কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গত সপ্তাহে সবজির দাম কাছুটা কম থাকলেও এ সপ্তাহে আবারও বেড়েছে। সবচেয়ে কম দামে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে সেটিও ৪০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, সংসার কি করে চলবে, সে ভাবনাতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে তাদের।

 

আর বিক্রেতা বলছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে যাওয়া আর পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া সবজির দাম বাড়ার কারণ।

বাজরে আজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায়, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, গাজর ১৫০-১৮০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০, বরবটি ১০০, কচুরমুখি ১০০, কাঁচা মরিচ ২০০, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে শসা ৬০-৭০, পটল ৬০-৮০, কাঁকরোল ৮০, মূলা ৬০, ধুন্দল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা। লাউ ৭০, চাল কুমড়া ৫০-৭০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় আর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারে বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

বাজার করতে আসা  ক্রেতারা জানান, প্রতি সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের ইনকাম বাড়ছে না। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের বাজেট নষ্ট হচ্ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে টিকে থাকাটাই মুশকিল হবে। সবজির বাজারের লাগাম টানার মতো কেউ নেই। সরকারের উচিত সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। আগে এক থেকে দেড়শ টাকার সবজি কিনলে কমপক্ষে দুদিন রান্না করা যেত। আর এখন এই টাকায় ভালো করে দুইবেলা খাওয়ার জন্য সবজি পাওয়া যায় না। এমটি হলে আমাদের মত মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।

সবজি বিক্রেতা  জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে সব সবজির দাম এ সপ্তাহে কিছুটা বেশি। এর মধ্যে বাজার চাহিদা মত সবজি নেই। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আড়ৎ থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হয়। আমরা যে দামে কিনি, অল্প কিছু লাভে বিক্রি করি। আমরা তো আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করি না। আড়ৎ থেকে বলা হচ্ছে পরিবহন খরচ বাড়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মৌলভীবাজারের নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে প্রতি সপ্তাহেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চড়া মূল্যের কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গত সপ্তাহে সবজির দাম কাছুটা কম থাকলেও এ সপ্তাহে আবারও বেড়েছে। সবচেয়ে কম দামে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে সেটিও ৪০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, সংসার কি করে চলবে, সে ভাবনাতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে তাদের।

 

আর বিক্রেতা বলছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে যাওয়া আর পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া সবজির দাম বাড়ার কারণ।

বাজরে আজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায়, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, গাজর ১৫০-১৮০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০, বরবটি ১০০, কচুরমুখি ১০০, কাঁচা মরিচ ২০০, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে শসা ৬০-৭০, পটল ৬০-৮০, কাঁকরোল ৮০, মূলা ৬০, ধুন্দল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা। লাউ ৭০, চাল কুমড়া ৫০-৭০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় আর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারে বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

বাজার করতে আসা  ক্রেতারা জানান, প্রতি সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের ইনকাম বাড়ছে না। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের বাজেট নষ্ট হচ্ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে টিকে থাকাটাই মুশকিল হবে। সবজির বাজারের লাগাম টানার মতো কেউ নেই। সরকারের উচিত সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। আগে এক থেকে দেড়শ টাকার সবজি কিনলে কমপক্ষে দুদিন রান্না করা যেত। আর এখন এই টাকায় ভালো করে দুইবেলা খাওয়ার জন্য সবজি পাওয়া যায় না। এমটি হলে আমাদের মত মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।

সবজি বিক্রেতা  জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে সব সবজির দাম এ সপ্তাহে কিছুটা বেশি। এর মধ্যে বাজার চাহিদা মত সবজি নেই। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আড়ৎ থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হয়। আমরা যে দামে কিনি, অল্প কিছু লাভে বিক্রি করি। আমরা তো আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করি না। আড়ৎ থেকে বলা হচ্ছে পরিবহন খরচ বাড়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।