ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমঝোতা হয়নি, চা শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন নিয়ে সরকার, চা শ্রমিক ও বাগান মালিকদের বৈঠক।

বুধবার ঢাকায় শ্রম অধিদফতরে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী নেতেৃত্বে বিকাল ৫টার শুরু হয়ে বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টায়। বৈঠকে প্রথমে শ্রমিক নেতারা মজুরি বৃদ্ধিসহ অনান্য দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। পরে মালিকপক্ষ তাদের কথা বলেন।আলোচনায় দুইপক্ষই কোনো সমঝোতায় আসতে না পারায় রাত ৮টায় চা বিরতি দেয়া হয়। পরে আবার শুরু হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয় বলে জানান শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ জানান, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। চা শ্রমিকরা তাদের চলমান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ বৈঠকে যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন সেটি ৩০০ টাকার ধারেকাছেও নয়। তাই আমাদের কাছে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয়নি। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা তাদের এই প্রস্তব প্রত্যাখান করেছি।বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, শ্রমিকপক্ষ দুই দিনের সময় নিয়েছেন। তারা পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, আমরা কোনো সময় নেইনি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল। ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা এই ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছি। সরকারের ডাকে আমরা বৈঠকে এসেছি। আবার ডাকলে আবার আসব। আলোচনা করব। কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী বলেন, মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনা চলবে। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। তবে তারা একদিন সময় নিয়েছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন।

উল্লেখ্য, দৈনিক ১২০ টাকার বদলে ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে গত শনিবার থেকে দেশের চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সমঝোতা হয়নি, চা শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

আপডেট সময় ০৭:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন নিয়ে সরকার, চা শ্রমিক ও বাগান মালিকদের বৈঠক।

বুধবার ঢাকায় শ্রম অধিদফতরে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী নেতেৃত্বে বিকাল ৫টার শুরু হয়ে বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টায়। বৈঠকে প্রথমে শ্রমিক নেতারা মজুরি বৃদ্ধিসহ অনান্য দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। পরে মালিকপক্ষ তাদের কথা বলেন।আলোচনায় দুইপক্ষই কোনো সমঝোতায় আসতে না পারায় রাত ৮টায় চা বিরতি দেয়া হয়। পরে আবার শুরু হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয় বলে জানান শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ জানান, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। চা শ্রমিকরা তাদের চলমান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ বৈঠকে যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন সেটি ৩০০ টাকার ধারেকাছেও নয়। তাই আমাদের কাছে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয়নি। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা তাদের এই প্রস্তব প্রত্যাখান করেছি।বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, শ্রমিকপক্ষ দুই দিনের সময় নিয়েছেন। তারা পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, আমরা কোনো সময় নেইনি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল। ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা এই ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছি। সরকারের ডাকে আমরা বৈঠকে এসেছি। আবার ডাকলে আবার আসব। আলোচনা করব। কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী বলেন, মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনা চলবে। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। তবে তারা একদিন সময় নিয়েছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন।

উল্লেখ্য, দৈনিক ১২০ টাকার বদলে ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে গত শনিবার থেকে দেশের চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।