ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের র ক্তা ক্ত লা/শ উ দ্ধা র মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সম্মেলন ২০ সেপ্টেম্বর: তৃণমূলে উৎসাহ-উচ্ছ্বাস এম.সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা লন্ডনের আকাশে অশ্রুর স্রোত,স্মৃতির মশালে এম সাইফুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিপুল ভোটে জয়ী শিবিরের সাদিক-ফরহাদ-মহিউদ্দিন মৌলভীবাজার সরকারি ১২০ শতক জমি উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে বিট পুলিশিং ও আইনশৃঙ্খলা সভা কমলগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে যুবকের গ/লা/কা/টা লা/শ উ দ্ধা র কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে : জেলা প্রশাসক

সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী মৌলভীবাজারে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৮৭৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা (কুষ্ঠ) রোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সভা করেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের ইপিআই ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসন বেলায়েত হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান,ডা.পারলী দাস প্রমুখ।

বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জিয়াউর  রহমান।

সভায় জানানো হয়, এই রোগ হাঁচ কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগটি নির্নয়ে দেরী হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরীতে ধরা পড়ে। মৌলভীবাজারে এক লক্ষ মানুষের মধ‍্যে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

সবচেয়ে আশংকাজনক বিষয় হলো দেশের ৯টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তার মধ‍্যে মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো-এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এই রোগের প্রকোপ বেশি।

মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ‍্যে ৩৭জন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ‍্যে এই রোগ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ মতামত ব‍্যক্ত করে জানান, যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ‍্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী মৌলভীবাজারে

আপডেট সময় ০৮:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা (কুষ্ঠ) রোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সভা করেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের ইপিআই ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসন বেলায়েত হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান,ডা.পারলী দাস প্রমুখ।

বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জিয়াউর  রহমান।

সভায় জানানো হয়, এই রোগ হাঁচ কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগটি নির্নয়ে দেরী হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরীতে ধরা পড়ে। মৌলভীবাজারে এক লক্ষ মানুষের মধ‍্যে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

সবচেয়ে আশংকাজনক বিষয় হলো দেশের ৯টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তার মধ‍্যে মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো-এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এই রোগের প্রকোপ বেশি।

মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ‍্যে ৩৭জন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ‍্যে এই রোগ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ মতামত ব‍্যক্ত করে জানান, যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ‍্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।