ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আঞ্জুম হ/ত্যা/কা/ন্ড ঘা/ত/ক জুনেলের ২ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মত মানুষ গু/লি করে হ/ত্যা করা হয়েছে মৌলভীবাজারে…অ্যাটর্নি জেনারেল ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা কুলাউড়া পৌরসভার কোটচাঁদপুর দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে পুড়লো কৃষকের কচুর ক্ষেত মৌলভীবাজার মাতৃমঙ্গলে সিজারিয়ান মেডিসিন প্রদান জুলাই আন্দোলনে আহতদের ভেরিফিকেশন সংক্রান্তে ফেসবুকে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপারের বিবৃতি কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন

সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী মৌলভীবাজারে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা (কুষ্ঠ) রোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সভা করেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের ইপিআই ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসন বেলায়েত হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান,ডা.পারলী দাস প্রমুখ।

বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জিয়াউর  রহমান।

সভায় জানানো হয়, এই রোগ হাঁচ কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগটি নির্নয়ে দেরী হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরীতে ধরা পড়ে। মৌলভীবাজারে এক লক্ষ মানুষের মধ‍্যে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

সবচেয়ে আশংকাজনক বিষয় হলো দেশের ৯টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তার মধ‍্যে মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো-এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এই রোগের প্রকোপ বেশি।

মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ‍্যে ৩৭জন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ‍্যে এই রোগ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ মতামত ব‍্যক্ত করে জানান, যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ‍্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী মৌলভীবাজারে

আপডেট সময় ০৮:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা (কুষ্ঠ) রোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সভা করেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের ইপিআই ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসন বেলায়েত হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান,ডা.পারলী দাস প্রমুখ।

বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জিয়াউর  রহমান।

সভায় জানানো হয়, এই রোগ হাঁচ কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগটি নির্নয়ে দেরী হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরীতে ধরা পড়ে। মৌলভীবাজারে এক লক্ষ মানুষের মধ‍্যে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

সবচেয়ে আশংকাজনক বিষয় হলো দেশের ৯টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তার মধ‍্যে মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো-এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এই রোগের প্রকোপ বেশি।

মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ‍্যে ৩৭জন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা এবং সবচেয়ে কম রাজনগর উপজেলায়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ‍্যে এই রোগ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ মতামত ব‍্যক্ত করে জানান, যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ‍্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।