সাংবাদিকের মামলার সাক্ষিকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি
- আপডেট সময় ০২:৩২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
- / ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানকে হত্যা চেষ্টা মামলার ৩নং সাক্ষিকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যপারে গত সোমবার (২১ আগষ্ট) মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মামলার সাক্ষী রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছমদু মিয়ার ছেলে মো: খুরশেদ মিয়া।
পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ১৯ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ১০ ঘটিকায় দেওড়াছড়া চা বাগানের চানপুর এলাকায় সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানকে হত্যা চেষ্টা মামলার ১নং আসামী বিষ্ণুপুর গ্রামের তাহির মিয়ার ছেলে আকলিছ মিয়া (৪০) গংরা তাকে গতিরোধ করে। আখলিছ মিয়া নিজেকে আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন পদ পদবী এবং জেলা উপজেলার বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ পত্রের খুরশেদ মিয়া ৩নং সাক্ষী এবং আখলিছ মিয়া ১নং আসামী হওয়াতে উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রদান না করার সূত্র ধরিয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
মামলায় তিনি সাক্ষ্য প্রদান না করার নিমিত্তে উক্ত মামলায় তিনি কিছুই জানি না বলিয়া বর্ণিত মামলার বিচারিক আদালতে এফিডেভিট দাখিলের নিমিত্তে তাকে চাপ প্রদান করে আসছেন। আখলিছ মিয়ার এই প্রস্তাাবে রাজী না হলে তাকে খুন করিয়া ফেলার উদ্দেশ্যে আখলিছ মিয়া এবং রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া (৪৮) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন মিলে তাকে কালেঙ্গাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা আখলিছ গংরা গতিরোধ করে তাকে ঘেরাও আক্রমন করে তাদের লিখিত এফিডেভিটে স্বাক্ষর প্রদান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে তিনি অপরাগতা স্বীকার করলে আখলিছ মিয়া ও আবুল মিয়া গংরা ধারালো অস্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে মেরে লাশ জঙ্গলে ফেলার হুমকি দেয়।
এ সময় আখিছ মিয়া ও আবুল মিয়া গংরা তার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় পৌনে ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার হাল্লা চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে টাকা নিয়ে তারা বলতে থাকে মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করলে বর্ণিত ভিকটিম সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের মতো অবস্থায় পরিনত করিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে আকলিছ মিয়া গংদের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।