ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান ও পাবলিক লাইব্রেরি দখলমুক্ত করে সংস্কারের দাবি পৌর বিএনপি ২নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা

সিটি নির্বাচনে ‘দুশ্চিন্তায়’ আওয়ামী লীগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৬৩১ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রির্পোটার:  আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছেন ক্ষমতাসীনরা। দলের কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নির্বাচনে দায়িত্বশীলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

গত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে সিলেটে নৌকার প্রার্থী হেরেছিলেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই চিন্তায় এখনই ‘ঘুম হারাম’তাদের। তবে, দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সিলেটে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে দলকে আনোয়ারুজ্জামানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এখানে আওয়ামী লীগের বিপরীতে অন্য যেকোনো প্রার্থী চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেন। কারণ, এখানে বিরোধী ভোট এবং আওয়ামী লীগের একাংশের ভোটও যুক্ত হবে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাক্সে।

যেহেতু নির্বাচনের আগে আরও সময় আছে, সেহেতু কিছুটা ধীরগতিতে বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চায় আওয়ামী লীগ। তার আগে দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা দুই সিটিতে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেবেন।

দলীয় সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফেরার পর দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন তিনি। পাঁচ সিটি এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা তাদের কাছ থেকে জানবেন। ওই বৈঠকে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলোও ওই বৈঠকে মূল্যায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘জীবনের পরতে পরতে চ্যালেঞ্জ আছে। নির্বাচন মানেই একটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে জনগণের রায় পক্ষে আনা, নির্বাচিত হওয়া— বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। জনগণকে সুসংগঠিত করতে হয়। ভোটারদের সন্তুষ্ট করে পক্ষে নিয়ে আসতে হয়। আশা করি, এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সিটি নির্বাচনে ‘দুশ্চিন্তায়’ আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় ০৮:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

ষ্টাফ রির্পোটার:  আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছেন ক্ষমতাসীনরা। দলের কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নির্বাচনে দায়িত্বশীলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

গত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে সিলেটে নৌকার প্রার্থী হেরেছিলেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই চিন্তায় এখনই ‘ঘুম হারাম’তাদের। তবে, দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সিলেটে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে দলকে আনোয়ারুজ্জামানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এখানে আওয়ামী লীগের বিপরীতে অন্য যেকোনো প্রার্থী চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেন। কারণ, এখানে বিরোধী ভোট এবং আওয়ামী লীগের একাংশের ভোটও যুক্ত হবে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাক্সে।

যেহেতু নির্বাচনের আগে আরও সময় আছে, সেহেতু কিছুটা ধীরগতিতে বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চায় আওয়ামী লীগ। তার আগে দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা দুই সিটিতে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেবেন।

দলীয় সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফেরার পর দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন তিনি। পাঁচ সিটি এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা তাদের কাছ থেকে জানবেন। ওই বৈঠকে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলোও ওই বৈঠকে মূল্যায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘জীবনের পরতে পরতে চ্যালেঞ্জ আছে। নির্বাচন মানেই একটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে জনগণের রায় পক্ষে আনা, নির্বাচিত হওয়া— বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। জনগণকে সুসংগঠিত করতে হয়। ভোটারদের সন্তুষ্ট করে পক্ষে নিয়ে আসতে হয়। আশা করি, এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হব।