সিলেট সিটিতে স্বামী,লন্ডনে স্ত্রী কাউন্সিলর
- আপডেট সময় ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
- / ৯১৭ বার পড়া হয়েছে
আজাদুর রহমান আজাদ ও নাজমা রহমান, তারা স্বামী-স্ত্রী। জনসেবার লক্ষ্যে দুজন দুই দেশে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যা বিশ্বে বিরল বলে মন্তব্য করেন আজাদ।
আজাদ বাংলাদেশের সিলেট সিটি করপোরেশনের একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। নগর আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সম্পাদক গেল বছর বিনাপ্রতিদ্বনিতায় সিসিকের ২০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন। আর তার স্ত্রী পুষ্টিবিদ নাজমা রহমান যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ওয়েস্টহ্যামস্টেড এলাকা থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী থেকে দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পেয়ে নির্বাচিত হন।এর আগে ২০১৮ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি একই দল থেকে প্রার্থী হয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ওয়ার্ডে ১২৭ জন বাঙালি ভোটার রয়েছেন।নাজমা রহমানের সাথে ওই এলাকা থেকে আরও দুজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত দুজনই লেবারপার্টির প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন- ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শ্যারন হার্ডিক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শিবা তিওয়ারি।
নাজমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনের লেবারপার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি লেবারপার্টির কিলবার্ন ও ওয়েস্টহ্যামস্টেড শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ।বিজয়ের পর নাজমা রহমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র ও লেবার পার্টির নেতা সাদিক খান, ব্রিটেনের ছায়া উপমন্ত্রী ও লন্ডনের হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ এমপি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ।
ব্যক্তি জীবনে কাউন্সিলর আজাদ দম্পতি ২ মেয়ে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক ও জননী। তাদের বড় মেয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষে চাকরি করছেন। আর একমাত্র ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র দেড় বছর।
স্ত্রীর বিজয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই দুই দেশে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছি। যা বিশ্বে বিরল। বিশ্বের কোনো ব্যক্তি নাই যে সে ও তার স্ত্রী দুজনই দুই দেশের জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী পরপর দুইবার লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। যেখানে গেল দুই নির্বাচনের আগেও লেবার পার্টির কোনো জয়লাভ করতে পারেনি। গেল দুই নির্বাচন থেকে আমার স্ত্রী ও তাদের দলের আরও দুই প্রার্থী পরপর দুবার নির্বাচিত হয়েছে। এজন্য আমরা খুশি।’
এদিকে, সিলেটের মেয়ে নাজমা দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অভিনন্দন বার্তা দিচ্ছেন। তাকে নিয়ে অনেকেই গর্ববোধ করছেন।সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সুবেদুর রহমান মুন্না বলেন, আমাদের সিলেটের মেয়ে নাজমা রহমান পরপর দুইবার লন্ডনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্বামীও সিসিকের জনপ্রিয় একাধিকবারের কাউন্সিলর। আমরা তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা আমাদের গর্ব।