ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার শহরের হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অপসারণের দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার ১৬ এপ্রিল দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছু সময় অবস্থান করে ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী কার্যালয়ে প্রবেশ করে জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে।

স্মারক লিপিতে শিক্ষার্থীরা জানায় স্বৈরাচারী সরকারের দোসর, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম ২০১৫ সালে যোগদানের পর থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ জনগণের মুখেমুখে। তিনি খুঁটির জোর দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তুচ্ছ কারণে ছাত্রীদের উপর অমানষিক নির্যাতন করেন। এ নিয়ে বহুবার নির্যাতিত ছাত্রীদের অভিভাবকগণ বিচারপ্রার্থী হয়েও ন্যায় বিচার পাননি। বরং তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে তার অফিস থেকে বিদায় করেছেন।

২০১৭ সালের দিকে মুন্নী নামক একজন ছাত্রীকে তিনি এতো বেশি শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। শাকেরা আক্তার রানী নামে আরেকজন ছাত্রীকে তিনি একইভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন। যার প্রেক্ষিতে সে বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যায়। খাদিজা আক্তার তন্নী নামের একজন শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করায় সে বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি শিক্ষার্থীদের কারণে অকারণে শারিরিক নির্যাতন করেন। তিনি অনলাইনে বেতন গ্রহন না করে কোনো রশিদ ছাড়া হাতে হাতে নগদে বেতন গ্রহণ করেন। ছাত্রীরা রশিদ চাইলে রশিদ লাগবে না বলে তিনি ধমক দিয়ে অফিস থেকে বিদায় করেন।

এছাড়া খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি তার একক ক্ষমতাবলে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করেন। এসকল খন্ডকালীন শিক্ষকরা স্কুলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন এবং তাদের অধিকাংশ ক্লাসই বুঝা যায় না। এ কারণে বিভিন্ন বোর্ড ও অভ্যন্তরীন পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের রেজাল্ট ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের লাগামহীন দুর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারীতা ও ছাত্রীনির্যাতনের খবর এখন সবারই জানা। তাই অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমকে অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৯:০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজার শহরের হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অপসারণের দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার ১৬ এপ্রিল দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছু সময় অবস্থান করে ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী কার্যালয়ে প্রবেশ করে জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে।

স্মারক লিপিতে শিক্ষার্থীরা জানায় স্বৈরাচারী সরকারের দোসর, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম ২০১৫ সালে যোগদানের পর থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ জনগণের মুখেমুখে। তিনি খুঁটির জোর দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তুচ্ছ কারণে ছাত্রীদের উপর অমানষিক নির্যাতন করেন। এ নিয়ে বহুবার নির্যাতিত ছাত্রীদের অভিভাবকগণ বিচারপ্রার্থী হয়েও ন্যায় বিচার পাননি। বরং তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে তার অফিস থেকে বিদায় করেছেন।

২০১৭ সালের দিকে মুন্নী নামক একজন ছাত্রীকে তিনি এতো বেশি শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। শাকেরা আক্তার রানী নামে আরেকজন ছাত্রীকে তিনি একইভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন। যার প্রেক্ষিতে সে বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যায়। খাদিজা আক্তার তন্নী নামের একজন শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করায় সে বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি শিক্ষার্থীদের কারণে অকারণে শারিরিক নির্যাতন করেন। তিনি অনলাইনে বেতন গ্রহন না করে কোনো রশিদ ছাড়া হাতে হাতে নগদে বেতন গ্রহণ করেন। ছাত্রীরা রশিদ চাইলে রশিদ লাগবে না বলে তিনি ধমক দিয়ে অফিস থেকে বিদায় করেন।

এছাড়া খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি তার একক ক্ষমতাবলে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করেন। এসকল খন্ডকালীন শিক্ষকরা স্কুলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন এবং তাদের অধিকাংশ ক্লাসই বুঝা যায় না। এ কারণে বিভিন্ন বোর্ড ও অভ্যন্তরীন পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের রেজাল্ট ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের লাগামহীন দুর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারীতা ও ছাত্রীনির্যাতনের খবর এখন সবারই জানা। তাই অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমকে অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।