ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহায়তায় আয়াতুল্লাহর মৃ-ত দেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

নিহত আয়াতুল্লাহর বাড়ি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জলুষা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কৃষক মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।  শুক্রবার রাতে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেছেন তার বড় ভাই সোহাগ মিয়া।

এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, মধ্যনগরের জলুষা গ্রামের সোহাগ মিয়া (৩২) চার বছর ধরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন। মাসখানেক আগে তার ছোট ভাই আয়াতুল্লাহ আরেকটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেন। ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি গাজীপুরের সফিপুর আনসার একাডেমির সামনে গণমিছিলে অংশ নিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন আনসার একাডেমির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তার বড় ভাই সোহাগ মিয়া গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।

 

নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার  রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কের সহায়তায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন সোহাগ মিয়া। শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে আয়াতুল্লাহর লাশ বুঝিয়ে দেয়।

 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহাগ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আয়াতুল্লাহ সবার ছোট। একটি মাদ্রাসায় মিজান ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে সংসারের অভাব ঘোচাতে পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে গুলি বা আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, এখনো দেখেননি।

 

চামরদানী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ সম্পর্কে আমার আত্মীয়। তাদের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। শত বুঝিয়েও তার মা–বাবার কান্না থামানো যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই।

 

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি শেরেবাংলা নগর থানার অধীনে। ওই পোশাকশ্রমিকের লাশ শনাক্তকরণে সহায়তা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুজন সমন্বয়ক। তাদের সঙ্গে তার (ওসি) কথা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

১১ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহায়তায় আয়াতুল্লাহর মৃ-ত দেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

নিহত আয়াতুল্লাহর বাড়ি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জলুষা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কৃষক মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।  শুক্রবার রাতে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেছেন তার বড় ভাই সোহাগ মিয়া।

এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, মধ্যনগরের জলুষা গ্রামের সোহাগ মিয়া (৩২) চার বছর ধরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন। মাসখানেক আগে তার ছোট ভাই আয়াতুল্লাহ আরেকটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেন। ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি গাজীপুরের সফিপুর আনসার একাডেমির সামনে গণমিছিলে অংশ নিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন আনসার একাডেমির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তার বড় ভাই সোহাগ মিয়া গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।

 

নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার  রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কের সহায়তায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন সোহাগ মিয়া। শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে আয়াতুল্লাহর লাশ বুঝিয়ে দেয়।

 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহাগ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আয়াতুল্লাহ সবার ছোট। একটি মাদ্রাসায় মিজান ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে সংসারের অভাব ঘোচাতে পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে গুলি বা আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, এখনো দেখেননি।

 

চামরদানী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ সম্পর্কে আমার আত্মীয়। তাদের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। শত বুঝিয়েও তার মা–বাবার কান্না থামানো যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই।

 

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি শেরেবাংলা নগর থানার অধীনে। ওই পোশাকশ্রমিকের লাশ শনাক্তকরণে সহায়তা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুজন সমন্বয়ক। তাদের সঙ্গে তার (ওসি) কথা হয়েছে।