ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মৃত্যু বরণ করেছে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পৌর ছাত্রদলের মশাল মিছিল রোজাদার পথচারিদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার বিতরন করলেন সাবেক এমপি এম নাসের রহমান মানুষ হত্যা, জাতির সম্পদ লুটপাট করেও আ.লীগের মধ্যে কোন অনুভূতি নেই মৌলভীবাজার এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে শ্রীমঙ্গলে ইফতার মাহফিলে মহসিন মিয়া মধু রাজনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৫ পালিত বড়লেখায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির পাশে দাঁড়ালেন নাসের রহমান ভুয়া মেজর আ ট ক কোটচাঁদপুরে অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়া ও আলোচনা সভা

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৩২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।