ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুলাই আন্দোলনে আহতদের ভেরিফিকেশন সংক্রান্তে ফেসবুকে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপারের বিবৃতি কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী

অতিভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের মৌলভীবাজারে আগাম বন্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতিভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিখড়িয়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর( বিএসএফ)র বাধায় মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের কাজ আটকে ছিলো। সেই পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

জেলার ৭ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন এ পর্যন্ত  আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানের নদনদীও বিপজ্জনক রুপ নিয়েছে। ফুঁসে উঠেছে হাকালুকি হাওরসহ মনু সোনাই ফানাই জুড়ী কন্টিনালা নদী।

 

মৌলভীবাজার -শমসেরনগর সড়কের শিমুলতলা মাতারকাপন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সড়কে মাতারকাপন এলাকায় সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি কোমর পানি।

এদিকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় মনু নদীর পানি মনু  রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে কমছে। তবে মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে এখনো বাড়ছে।
সোমবার বিকেল ৩ টায় (এ রিপোর্ট লেখার সময়)  মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্ট বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া জুড়ী নদীর পানি জুড়ীতে বিপদ সীমার ১ শ ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সড়ক বিভাগ ব্রিজের সংযোগ সড়কের শালিকা এলাকায় একটি কালভার্টের জন্য রাস্তা কেটেছিলো।  মনু নদীর পানি বেড়ে তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছিলো। স্থানীয়দের নিয়ে ঠিকাদারের সহযোগিতায় তা মেরামত করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.  তাজ উদ্দিন জানান, অতি ভারী বর্ষণে আমাদের ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ টি ইউনিয়ন আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নে ১০ মেট্রিক্স টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আরও যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে।

এছাড়া  সোমবার রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার বরহাট এলাকায় বন্যার্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের পক্ষে সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল

 

কুলাউড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো: মহিউদ্দিন আহমেদ  জানান, কুলাউড়া পৌরসভা পূর্বদিকে গোগালীর বাঁধ ভেঙে পৌরসভার ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়পাশ উত্তর ও দক্ষিণ এবং দানাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। আমরা জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিলে সেখানে ৬ টি পরিবার আশ্রয় নেয়। পরে ওই ৬ পরিবারসহ ২০ টি বন্যার্থ  পরিবারের মাঝে ১৪ কেজি করে চাল ডাল আলু ও  শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়ে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার  কে বলেন,”বড়লেখা শহরের  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর রবিবার রাতে ২৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। তবে কোনো পরিবার এখনো এসব আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। আমরা এ পর্যন্ত ১৪৪ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেছি”।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অতিভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের মৌলভীবাজারে আগাম বন্যা

আপডেট সময় ০৪:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতিভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিখড়িয়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর( বিএসএফ)র বাধায় মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের কাজ আটকে ছিলো। সেই পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

জেলার ৭ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন এ পর্যন্ত  আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানের নদনদীও বিপজ্জনক রুপ নিয়েছে। ফুঁসে উঠেছে হাকালুকি হাওরসহ মনু সোনাই ফানাই জুড়ী কন্টিনালা নদী।

 

মৌলভীবাজার -শমসেরনগর সড়কের শিমুলতলা মাতারকাপন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সড়কে মাতারকাপন এলাকায় সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি কোমর পানি।

এদিকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় মনু নদীর পানি মনু  রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে কমছে। তবে মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে এখনো বাড়ছে।
সোমবার বিকেল ৩ টায় (এ রিপোর্ট লেখার সময়)  মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্ট বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া জুড়ী নদীর পানি জুড়ীতে বিপদ সীমার ১ শ ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সড়ক বিভাগ ব্রিজের সংযোগ সড়কের শালিকা এলাকায় একটি কালভার্টের জন্য রাস্তা কেটেছিলো।  মনু নদীর পানি বেড়ে তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছিলো। স্থানীয়দের নিয়ে ঠিকাদারের সহযোগিতায় তা মেরামত করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.  তাজ উদ্দিন জানান, অতি ভারী বর্ষণে আমাদের ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ টি ইউনিয়ন আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নে ১০ মেট্রিক্স টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আরও যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে।

এছাড়া  সোমবার রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার বরহাট এলাকায় বন্যার্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের পক্ষে সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল

 

কুলাউড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো: মহিউদ্দিন আহমেদ  জানান, কুলাউড়া পৌরসভা পূর্বদিকে গোগালীর বাঁধ ভেঙে পৌরসভার ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়পাশ উত্তর ও দক্ষিণ এবং দানাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। আমরা জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিলে সেখানে ৬ টি পরিবার আশ্রয় নেয়। পরে ওই ৬ পরিবারসহ ২০ টি বন্যার্থ  পরিবারের মাঝে ১৪ কেজি করে চাল ডাল আলু ও  শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়ে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার  কে বলেন,”বড়লেখা শহরের  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর রবিবার রাতে ২৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। তবে কোনো পরিবার এখনো এসব আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। আমরা এ পর্যন্ত ১৪৪ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেছি”।