ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ জাতীয় রাজনীতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে”— এম নাসের রহমান মৌলভীবাজার জুলাই শহীদ দিবস পালন স্ত্রীর মৃ/ত্যু/র খবর শুনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামীও মৃ/ত্যু সুদের টাকার লেনদেন নিয়ে ময়ুর মিয়া হ/ত্যা রহস্য উদঘাটন আলামতসহ মূল আসামী গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে জুলাই শহীদ দিবস পালিত মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে বি ক্ষো ভ মিছিল গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অতিরিক্ত ডিআইজি’র বাড়িতে ডাকাতি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

মধ্যরাতে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল। প্রত্যেকেই হাফপ্যান্ট পরা। কারও মুখে মাস্ক, কারও মুখ কাপড় বাঁধা। এরপর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নেয় ঘরের মূল্যবান সবকিছু।

সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক এম এ জলিলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বেলতলীতে শনিবার দিবাগত (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেবল তাঁর মা ও বাবা ছিলেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি এম এ জলিলের বাবা আবদুল বাতেন ঘটনার বর্ণনায় বলেন, বাড়িটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মই দিয়ে ডাকাত দল প্রাচীরের ভেতরে প্রবেশ করে। বারান্দায় এক অংশে থাই গ্লাস দেওয়া ছিল। ওই গ্লাস কৌশলে খুলে বারান্দায় গ্রিলের দরজার ভেতরের সিটকিনি খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতেরা। এরপর থাকার ঘরের দরজায় লাগানো ‘নব লক’ ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাত দলের লোকজন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। কোনো শব্দ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে লুটপাট। টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজির ইউনিফর্ম (টিউনিক) লুটে নেয় ডাকাতেরা।

আবদুল বাতেন বলেন, লুটপাট শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দুজনকে বেঁধে রেখে যেতে চান ডাকাত দলের সদস্যরা। নিজের অসুস্থতার কথা বলে অনুরোধ করার পর তাঁদের না বেঁধেই ডাকাতেরা চলে যায়। পরে বাইরে এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা। ডাকাত দলের প্রত্যেকেই হাফপ্যান্ট পরা ছিল। কারও মুখে ছিল মাস্ক, আবার কারও মুখ কাপড় বাঁধা। তাই তাদের চেনা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ও অতিরিক্ত ডিআইজির চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে আমরা কাউকে পাইনি। চাচা ও চাচিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার লোকজন বেশ আতঙ্কে পড়ে গেছেন। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ‘দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওই বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশের পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র, টাকাপয়সা লুট হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার পরপর পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অতিরিক্ত ডিআইজি’র বাড়িতে ডাকাতি

আপডেট সময় ০৩:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মধ্যরাতে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল। প্রত্যেকেই হাফপ্যান্ট পরা। কারও মুখে মাস্ক, কারও মুখ কাপড় বাঁধা। এরপর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নেয় ঘরের মূল্যবান সবকিছু।

সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক এম এ জলিলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বেলতলীতে শনিবার দিবাগত (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেবল তাঁর মা ও বাবা ছিলেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি এম এ জলিলের বাবা আবদুল বাতেন ঘটনার বর্ণনায় বলেন, বাড়িটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মই দিয়ে ডাকাত দল প্রাচীরের ভেতরে প্রবেশ করে। বারান্দায় এক অংশে থাই গ্লাস দেওয়া ছিল। ওই গ্লাস কৌশলে খুলে বারান্দায় গ্রিলের দরজার ভেতরের সিটকিনি খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতেরা। এরপর থাকার ঘরের দরজায় লাগানো ‘নব লক’ ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাত দলের লোকজন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। কোনো শব্দ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে লুটপাট। টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজির ইউনিফর্ম (টিউনিক) লুটে নেয় ডাকাতেরা।

আবদুল বাতেন বলেন, লুটপাট শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দুজনকে বেঁধে রেখে যেতে চান ডাকাত দলের সদস্যরা। নিজের অসুস্থতার কথা বলে অনুরোধ করার পর তাঁদের না বেঁধেই ডাকাতেরা চলে যায়। পরে বাইরে এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা। ডাকাত দলের প্রত্যেকেই হাফপ্যান্ট পরা ছিল। কারও মুখে ছিল মাস্ক, আবার কারও মুখ কাপড় বাঁধা। তাই তাদের চেনা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ও অতিরিক্ত ডিআইজির চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে আমরা কাউকে পাইনি। চাচা ও চাচিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার লোকজন বেশ আতঙ্কে পড়ে গেছেন। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ‘দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওই বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশের পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র, টাকাপয়সা লুট হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার পরপর পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারব।