ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে আমাকে জানান, শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করার পরও কিছু শ্রমিকনেতা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে পছন্দ করেন। জানিনা এখানে অন্যকোনো স্বার্থ বা দেনা-পাওনার ব্যবস্থা আছে কিনা! সরকারপ্রধান বলেন, নিজের দেশের সস্পর্কে অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে, কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে আমাকে জানান।

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রোববার (৮ মে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনেক শিল্প মালিক ঠিক মতো টাকা দেন না। এটা দুঃখজনক। যে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে মালিকের যেমন শ্রমিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে, তেমনি শ্রমিকেরও মালিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে। শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সেটা মালিকদের দেখতে হবে। তাতে উৎপাদনও বাড়বে, মালিক-শ্রমিক উভয়ই লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক, দিনমজুর তথা খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্যই আমাদের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কথা ভাবি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশ উন্নত করতে হলে শ্রমিক শ্রেণির অবদানটা গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শ্রমজীবীদের উন্নয়নে নানা কাজ শুরু করি। এ দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্যই আমরা কাজ করি। শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছি। মে দিবস সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। সব শ্রমজীবী মানুষকে আমার অভিনন্দন জানাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে আমাকে জানান, শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করার পরও কিছু শ্রমিকনেতা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে পছন্দ করেন। জানিনা এখানে অন্যকোনো স্বার্থ বা দেনা-পাওনার ব্যবস্থা আছে কিনা! সরকারপ্রধান বলেন, নিজের দেশের সস্পর্কে অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে, কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে আমাকে জানান।

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রোববার (৮ মে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনেক শিল্প মালিক ঠিক মতো টাকা দেন না। এটা দুঃখজনক। যে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে মালিকের যেমন শ্রমিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে, তেমনি শ্রমিকেরও মালিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে। শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সেটা মালিকদের দেখতে হবে। তাতে উৎপাদনও বাড়বে, মালিক-শ্রমিক উভয়ই লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক, দিনমজুর তথা খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্যই আমাদের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কথা ভাবি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশ উন্নত করতে হলে শ্রমিক শ্রেণির অবদানটা গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শ্রমজীবীদের উন্নয়নে নানা কাজ শুরু করি। এ দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্যই আমরা কাজ করি। শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছি। মে দিবস সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। সব শ্রমজীবী মানুষকে আমার অভিনন্দন জানাই।