ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়ন শাখার কর্মী সমাবেশ মহিম দে’র চেম্বার সদস্য পদ স্থগিত আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পরিবর্তন মৌলভীবাজারে চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার কোন আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই পালিত হবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার চেম্বার অফ এন্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ছাত্রকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত কুলাউড়ায় এইচএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পর্যটন শিল্প বিকাশে শ্রীমঙ্গলে ‘খাসি কমিউনিটি ট্যুরিজম’ এর উদ্বোধন জুড়ী সীমান্তেে বিজিবি’র হাতে ৮ বাংলাদেশী আটক

অবশেষে প্রমাণ হলো ঢাকার মাহমুদুরই সিলেটের হারিছ চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই হারিছ চৌধুরীর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে ছিলেন না তিনি। ওই ডিএনএ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামারুন মুনিরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’

তবে সিআইডি সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট সাভার থানার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর সাভার থানায় হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেই জিডির রেফারেন্সে ডিএনএ পরীক্ষা হয়।

হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাঁকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।’

জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করা হয়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অবশেষে প্রমাণ হলো ঢাকার মাহমুদুরই সিলেটের হারিছ চৌধুরী

আপডেট সময় ০১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই হারিছ চৌধুরীর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে ছিলেন না তিনি। ওই ডিএনএ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামারুন মুনিরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’

তবে সিআইডি সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট সাভার থানার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর সাভার থানায় হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেই জিডির রেফারেন্সে ডিএনএ পরীক্ষা হয়।

হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাঁকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।’

জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করা হয়।