ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে সোনিয়া ও না ফেরার দেশে চলে গেলো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৭২০ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি-; মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তার (১২) মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের মতো সেও চলে গেলো।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। তিনি লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঝড়-বৃষ্টিতে সোনিয়াদের বসতঘরের টিনের চালে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাক্প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৪৩), মা স্ত্রী শিরি বেগম (৩৯), বোন সামিয়া আক্তার (১৫ ) ও সাবিনা আক্তার (০৯) এবং ছোট ভাই সায়েম উদ্দিনের (৭) মৃত্যু হয়।

গতকাল বিকেলে নিহতদের নিজগ্রাম গোয়ালবাড়িতে পাঁচজনের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ তাদের জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়।

মামা আবদুল আজিজ জানিয়েছেন, সোনিয়াকে আজ জানাজা শেষে তাদের পাশে দাফন করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অবশেষে সোনিয়া ও না ফেরার দেশে চলে গেলো

আপডেট সময় ১১:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

জুড়ী প্রতিনিধি-; মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তার (১২) মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের মতো সেও চলে গেলো।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। তিনি লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঝড়-বৃষ্টিতে সোনিয়াদের বসতঘরের টিনের চালে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাক্প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৪৩), মা স্ত্রী শিরি বেগম (৩৯), বোন সামিয়া আক্তার (১৫ ) ও সাবিনা আক্তার (০৯) এবং ছোট ভাই সায়েম উদ্দিনের (৭) মৃত্যু হয়।

গতকাল বিকেলে নিহতদের নিজগ্রাম গোয়ালবাড়িতে পাঁচজনের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ তাদের জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়।

মামা আবদুল আজিজ জানিয়েছেন, সোনিয়াকে আজ জানাজা শেষে তাদের পাশে দাফন করা হবে।