ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আলোচিত আঞ্জুম হত্যা মামলার আসামী জুনেলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হিথ্রো বিমানবন্দরে নাসের রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা মৌলভীবাজারে ঢাকা ব্যাংকের “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ আর্থিক স্বাক্ষরতা নিশ্চিতে তরুণদের সম্পৃক্ততার আহ্বান ২০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল কমলগঞ্জে ভূঁইয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের মনু-ধলই ভ্যালি কমিটি গঠন মৌলভীবাজারে রেস্টুরেন্টে প্রেমিকা নিয়ে আ ট ক স্কুল ছাত্র,অতঃপর.. ইউএনওর গাড়ি চাপায় প্রাণ গেল ফরিদ মিয়ার জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচি কুলাউড়ার মেয়ে শিক্ষিকা মিলির’র ঝুলন্ত লা/শ সিলেটে উদ্ধার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অ ব রো ধ, যান চলাচল বন্ধ

অল্পের জন্য বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেলেন শিক্ষকের স্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১১৫৪ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি;  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অল্পের জন্য বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক নারী। ওই নারী শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কল্যাণ দেব এর স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছুবপুর এলাকার শিক্ষক কল্যাণ দেবের বেড রোমে একটি বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপ ঢুকে পড়ে।

শিক্ষক কল্যাণ দেবের স্ত্রী ঘরে প্রবেশ করে পায়ের কাছে বসে থাকা শঙ্খিনী সাপটিকে দেখতে পান। সাপ দেখে হাল্লা চিৎকার শুরু করলে অন্যান্যরা এগিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল সাপটিকে রোমের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। শিক্ষক কল্যাণ দেব জানান, অল্পের জন্য তার স্ত্রী বিষাক্ত সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কল্যাণ দেবের স্ত্রী জানান, সাপটি তার পয়ের কাছে ছিল। তিনি না দেখলে নিশ্চিত কামড়ে দিত। বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, শিক্ষকের বেড রোম থেকে বিপন্ন প্রজাতির বিষধর একটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। শঙ্খিনী সাপ বিষ ধর সাপের মধ্যে অন্যতম প্রজাতি। এ সাপ ছোবল মারলে রুগী বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। অন্য দিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার সড়ক থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেন তিনি।

সজল দেব বলেন, পার্শবর্তী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনে প্রাণীদের খাবারের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। যার ফলে অনেক সময় অনেক প্রাণী মারাও যাচ্ছে। তিনি বলেন, বনের পরিবেশ ফিরে না আসলে একসময় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বিরল সব প্রাণী হারিয়ে যাবে। উদ্ধার করা শংঙ্খীনি ও অজগর সাপ দুটি অবমুক্তের জন্য বন বিভাগ কতৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অল্পের জন্য বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেলেন শিক্ষকের স্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি;  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অল্পের জন্য বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক নারী। ওই নারী শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কল্যাণ দেব এর স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছুবপুর এলাকার শিক্ষক কল্যাণ দেবের বেড রোমে একটি বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপ ঢুকে পড়ে।

শিক্ষক কল্যাণ দেবের স্ত্রী ঘরে প্রবেশ করে পায়ের কাছে বসে থাকা শঙ্খিনী সাপটিকে দেখতে পান। সাপ দেখে হাল্লা চিৎকার শুরু করলে অন্যান্যরা এগিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল সাপটিকে রোমের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। শিক্ষক কল্যাণ দেব জানান, অল্পের জন্য তার স্ত্রী বিষাক্ত সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কল্যাণ দেবের স্ত্রী জানান, সাপটি তার পয়ের কাছে ছিল। তিনি না দেখলে নিশ্চিত কামড়ে দিত। বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, শিক্ষকের বেড রোম থেকে বিপন্ন প্রজাতির বিষধর একটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। শঙ্খিনী সাপ বিষ ধর সাপের মধ্যে অন্যতম প্রজাতি। এ সাপ ছোবল মারলে রুগী বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। অন্য দিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার সড়ক থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেন তিনি।

সজল দেব বলেন, পার্শবর্তী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনে প্রাণীদের খাবারের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। যার ফলে অনেক সময় অনেক প্রাণী মারাও যাচ্ছে। তিনি বলেন, বনের পরিবেশ ফিরে না আসলে একসময় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বিরল সব প্রাণী হারিয়ে যাবে। উদ্ধার করা শংঙ্খীনি ও অজগর সাপ দুটি অবমুক্তের জন্য বন বিভাগ কতৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।